চিনে কোভিড-বিস্ফোরণ! কোনরকম ঝুঁকি নিতে রাজি নয় কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকও করোনা বিস্তার রোধে একটি উচ্চ-পর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠক করেছে। একই সঙ্গে চলমান সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে আবারও সংসদ সসদ্যদের মাস্ক পরা অবস্থায় দেখা গিয়েছে। সংসদের উভয় কক্ষ, রাজ্যসভা এবং লোকসভায়, চেয়ারম্যান এবং স্পিকার সকলকে মাস্ক পরে অধিবেশনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছিলেন।বৃহস্পতিবার মাস্ক পরে রাজ্যসভায় পৌঁছাতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে।
এএনআই-এর দেওয়া তথ্য অনুসারে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখর এবং লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে সংসদে হাউসের কার্যক্রম চলাকালীন মাস্ক পরা অবস্থায় দেখা গেছে। এর পাশাপাশি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা হাউসের সদস্যদের মাস্ক পরার আবেদন করেন। চিনে ক্রমবর্ধমান করোনভাইরাসের প্রকোপের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সকল সাংসদ সদস্যদের মাস্ক পরার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, করোনার অতীত অভিজ্ঞতার দিকে তাকালে আমাদের কোভিড-১৯ নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: < ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ বন্ধ করতে করোনাকে ঢাল করা হচ্ছে: রাহুল গান্ধী >
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করবেন। আজ বিকেলে এই বৈঠক হবে বলে জানা গেছে। এর পাশাপাশি, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ-স্তরের পর্যালোচনা বৈঠক ডেকেছে একাধিক রাজ্যসরকারও। ইউপি, দিল্লি, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্রের পর এখন পাঞ্জাব ও তামিলনাড়ু সরকারও পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠক ডেকেছে। পাশাপাশি করোনা মোকাবিলায় হাসপাতালগুলির প্রস্তুতির খতিয়ে দেখা হবে।
কেন্দ্রীয় সরকার চিনের করোনার বাড়বাড়ন্তের মধ্যে জনগণকে ভিড়ের মধ্যে মাস্ক পরার এবং বুস্টার ডোজ নেওয়ার সেই সঙ্গে সকল প্রকার সর্তকতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন। রাজ্য সরকারগুলিকেও এই বিষয়ে তাদের নিজস্ব প্রস্তুতি নিতে দেখা যাচ্ছে। করোনার সম্ভাব্য বিপদের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিনের বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও মহারাষ্ট্র সরকার কোভিড পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছে। একই সঙ্গে কেরালা সরকার ভাইরাসের সম্ভাব্য বিস্তার সম্পর্কে জনসাধারণকে সতর্ক করেছে।