সমগ্র ভারত আজ প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করছে। আজ 'কর্তব্য পথ'-এ দেশের সামরিক শক্তি, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এবং আরও অনেক অনন্য উদ্যোগের সাক্ষী থাকতে চলেছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে দেশকে নেতৃত্ব দেবেন। এবার প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিচ্ছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে এই প্রথম কোন মিশরীয় রাষ্ট্রপ্রধানকে আমন্ত্রণ জানান হয়েছে।
চারদিনের ভারত সফরে এসেছেন আল-সিসি। বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে দেশবাসীকে প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করেছেন, “প্রজাতন্ত্র দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। এবারের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানটিও বিশেষ ভাবে স্মরণীয় কারণ আমরা স্বাধীনতার অমৃত উৎসব চলাকালীন এই উৎসব উদযাপন করছি। দেশের মহান মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে চাই। সমগ্র ভারতবাসীকে প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা!”
প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান উপলক্ষে জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি দেশের বীর সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘ওয়ার মেমোরিয়ালে’ পৌঁছে শহীদ সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
সেই সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, সিডিএস এবং তিন সেনাপ্রধানও তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছে ভারতে ইসরায়েলি দূতাবাস। এই উপলক্ষে দূতাবাসের পক্ষ থেকে একটি চমৎকার ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। দূতাবাস ভিডিও শেয়ার করে বলেছে, ‘প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে সকল ভারতীয়দের আন্তরিক শুভেচ্ছা, ভারতের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের উদযাপনে আমরা যোগ দিতে পেরে গর্বিত’।
ভারত চলতি বছর ৭৪ তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করছে। অনুষ্ঠান উপলক্ষে সেজে উঠেছে রাজধানী দিল্লি। প্রতিবছরের ন্যায় এবারেও একটি বিশেষ কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়েছে, যার নেতৃত্ব দেবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল সিসি। এবারের কুচকাওয়াজে স্বনির্ভর ভারত, নারীর ক্ষমতায়ন এবং উদীয়মান ভারত নিয়ে ‘বিশেষ প্রদর্শনী’ অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদী যুদ্ধ স্মৃতিসৌধ থেকে কুচকাওয়াজ শুরু করবেন যেখানে দেশের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে। কুচকাওয়াজে ১৭টি রাজ্যের ট্যাবলো অংশ নেবে। ভারতের সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি সামরিক শক্তির ভান্ডার প্রদর্শন করা হবে।