মোদী-সলমন বৈঠকে কৌশলগত অংশীদারীত্বের ওপর জোর। সৌদি যুবরাজ প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সলমনের সঙ্গে সোমবার এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠক শেষে মোদী বলেন, 'আজকের এই বৈঠক আমাদের সম্পর্কের নতুন দিকনির্দেশ করবে'।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সলমন, G-20 শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে দিল্লিতে এসেছিলেন। আজ সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছান। সেখানে তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী মোদী তাকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। একই সময়ে মোহাম্মদ বিন সলমনকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও।
এরপর হায়দরাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন যুবরাজ সলমন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, 'এই বৈঠক সৌদি আরব-ভারতের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারীত্ব আরও জোরদার করবে। বিশ্বের দুটি বৃহত্তম এবং দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসাবে আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতা সমগ্র অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ'। তিনি বলেন, 'আমাদের আলোচনায় আমরা আমাদের অংশীদারিত্বকে পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বেশ কিছু উদ্যোগকে চিহ্নিত করেছি'।
প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেন, 'আজকের বৈঠক আমাদের সম্পর্কের নতুন দিকনির্দেশ করবে সেই সঙ্গে সমগ্র মানব জাতির উন্নতির জন্য একসঙ্গে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে। গতকাল আমরা ভারত, পশ্চিম এশিয়া এবং ইউরোপের মধ্যে একটি করিডোর প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক সূচনা করেছি। এটি কেবল দুটি দেশকে সংযুক্ত করবে না বরং এশিয়া, পশ্চিম এশিয়া এবং ইউরোপের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, জ্বালানি উন্নয়ন এবং ডিজিটাল সংযোগকে আরও বেশি শক্তিশালী করবে'।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আগে যুবরাজ সলমন বলেছিলেন, “আমি ভারতে এসে খুব খুশি। আমি G20 সম্মেলনের জন্য ভারতকে অভিনন্দন জানাতে চাই। শীর্ষ সম্মেলনে অনেক বড় ঘোষণা করা হয়েছে যা G20 দেশ এবং বিশ্বকে উপকৃত করবে। "আমাদের দুই দেশ একটি মহান ভবিষ্যত তৈরি করতে একসঙ্গে কাজ করবে।" এর আগে ভারত-সৌদি বিনিয়োগ চুক্তির অধীনে ভারত ও সৌদি আরবের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর যুবরাজ রাত ৮.৩০ মিনিটে সৌদির উদ্দেশে রওনা দেবেন।