'সবকা সাথ, সবকা বিকাশ'-এর চেতনায় উজ্জ্বীবিত কেন্দ্রীয় সরকার অসমের সীমান্ত সমস্যার সমাধান খুঁজেছে। বৃহস্পতিবার অসমে এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৫০ বছরের পুরনো বিবাদ মেটাতে সম্প্রতি অসম এবং মেঘালয়ের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। এর আগে অসম-মেঘালয়ের সীমান্ত বিবাদে বহু রক্তপাত ঘটেছে। এমনকী, দুই রাজ্যের নিরাপত্তারক্ষীরাও পরস্পরের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। যার জেরে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। সম্প্রতি হওয়া অসম-মেঘালয় চুক্তি এই বিরোধ নিরসনে কাজ করবে বলেই আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বেশ কয়েক দশক পর নরেন্দ্র মোদীর জমানায় কেন্দ্রীয় সরকার অসম, মণিপুর, নাগাল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকা থেকে আফস্পা প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছে। ১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে এই সময়সীমা। এই আফস্পা প্রত্যাহার উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। সেই দাবি মেটানোর কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে টেনে এনেছেন 'ডবল ইঞ্জিন' সরকারের কথা। কেন্দ্র এবং অসমে বিজেপির সরকার থাকায় অসমে শান্তি ফিরে এসেছে। দ্রুত উন্নয়ন ঘটছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার সেই উন্নয়নের ধারা বজায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী দিফু এবং কার্বি আংলং-এ স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি পরিষেবার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। অসমে শান্তি এবং উন্নয়ন হাতে হাত ধরে চলায় নিজের দল বিজেপির সঙ্গে শরিক দলগুলোর ভূমিকারও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলেন, 'জঙ্গিপনা ছেড়ে গত বছর কার্বি আংলং-এর বেশ কয়েকটি সংগঠন শান্তি ও উন্নয়নের সংকল্পে যোগ দিয়েছে। ২০২০ সালের বোড়ো চুক্তি শান্তির দরজা খুলে দিয়েছে।'
বৃহস্পতিবার তাঁর এই 'শান্তি, একতা এবং উন্নয়ন'-এর সভায় প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন বিশেষ সামরিক ক্ষমতা আইন আফস্পার কথা। ওই আইন অসমের ২৩টি জেলা থেকে প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্র। অসমের আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি ঘটায় এই আই প্রত্যহার করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে মোদী বলেন, 'আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটায় আমরা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে আফস্পা প্রত্যাহার করেছি।' সম্প্র্তি অসমে আলফা স্বাধীন তাদের সংগঠন বিস্তার করছে বলে অভিযোগ। অসমের যুবশ্রেণি ওই জঙ্গি সংগঠনের ফাঁদে পা দিলে, ফের আফস্পা যে লাগু হতে পারে, প্রধানমন্ত্রী পরোক্ষে যেন সেকথাই বোঝাতে চেয়েছেন। এমনটাই মনে করছেন অসম বিজেপি নেতাদের একাংশ।
Reads story in English