সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশনের ২০তম রাষ্ট্রপ্রধানদের সম্মেলনে শি জিনপিংয়ের উপস্থিতিতে চিনকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বেজিংয়ের আগ্রাসী নীতিকে নিশানা করে মোদী বললেন, 'সংগঠনের সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে সংযোগ গভীর করতে প্রয়োজন আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৈমত্বের প্রতি পারস্পরিক সম্মান বাজয় রাখা।'
গালওয়ান সংঘর্ষের পর এই প্রথম দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে একই মঞ্চ ভাগ করলেন। তবে, ভার্চুয়াল এই ভৈঠকে কেউ একে অপরের সঙ্গো কোনও কথা বলেননি। প্রদানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, 'সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশনের সনদ ও অলোচ্য বিষবস্তু ছাড়াও অহেতুক দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন ইস্যু এখানে আলোচনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা দুর্ভাগ্যের। এটা সংগঠনের স্পিরিটকেও আঘাত করছে। এ জাতীয় প্রচেষ্টা সংগঠনের সহযোগিতার চেতনার পরিপন্থী।' এরপরই মোদী বলেছেন, 'সংগঠনের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক গভীর যোগাযোগ বৃদ্ধির পক্ষে ভারত এবং বিশ্বাস করে আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৈমত্বের প্রতি পারস্পরিক সম্মান বাজয় রাখলেই তা সম্ভব।'
পাশাপাশি মহামারী মোকাবিলায় ভারতের ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন মোদী। জানান, 'গোটা বিশ্ব বর্তমানে অনিশ্চয়তার পথে হাঁটছে। এই সময়ে ভারতের ওষুধ কোম্পানিগুলি বিশ্বের ১৫০টির বেশি দেশে অত্যাবশকীয় ওষুধ সরবরাহ করেছে। বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভ্যাকসিন তৈরি হয় ভারতে। তাই এই বিপর্যয়ের মোকাবিলা করার জন্য ভারত তার ভ্যাকসিন উৎপাদন ও সরবরাহ করার ক্ষমতা সমগ্র মানবজাতির কাজে ব্যবহার করা হবে।' আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে নিশ্চয়তা আনতে রাষ্ট্রসংঘের কাঠামোয় বদল আনার পক্ষে সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ দিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুলিতেনের নেতৃত্বে সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশনের ২০তম রাষ্ট্রপ্রধানদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। হাজির ছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আগামী ১৭ নভেম্বর ব্রিকস-এর ভার্চুয়াল বৈঠকে ফের মোদীর সঙ্গে হাজির হবেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন