/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/12/modi-1-7.jpg)
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে এবার নয়া প্রচার কৌশল মোদীর। সোশাল মিডাযায় প্রচারে ঝড় তুলতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। সোমবার সিএএ-এর সমর্থনে প্রচারের জন্য হ্যাস ট্যাগের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নয়া আইনের মাধ্যমে একজন ভারতীয়রও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
এদিন টুইট করে ‘#IndiaSupportsCAA’ নামের হ্যাস ট্যাগের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তাঁর আর্জি, 'কারোর নাগরিক্তব কেড়ে নেওয়ার বদলে সিএএ নীপিড়িত উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেবে। তা সমর্থনের জন্যই জন্যই #IndiaSupportsCAA।'
#IndiaSupportsCAA because CAA is about giving citizenship to persecuted refugees & not about taking anyone’s citizenship away.
Check out this hashtag in Your Voice section of Volunteer module on NaMo App for content, graphics, videos & more. Share & show your support for CAA..
— narendramodi_in (@narendramodi_in) December 30, 2019
সিএএ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে নমো অ্যাপ ব্যবহারের আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও নয়া আইনকে সমর্থনের দাবি করেছেন। এছাড়াও সিএএ-এর সমর্থনে ভিডিও, গ্রাফিক্স, লেখার আর্জি জানানো হয়েছে ওই টুইটে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, সিএএ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। এই আইন কোনও দেশবাসীর নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া যায়না। উল্টে, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে অ-মুসলমান যারা অত্যাচারের শিকার হয়ে ভারতে এসেছেন তাদের নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে। কিন্তু, সেই আশ্বাস মানতে রাজি নয় দেশবাসী। শুরু হয় প্রতিবাদ আন্দোলন।
নয়া আইন ঘিরে প্রতিবাদ আন্দোলনের জেরে এখনও পর্যন্ত দেশে নিহত হয়েছেন ২৬ জন। উত্তরপ্রদেশেই প্রাণ গিয়েছে ১৯ জনের। এরই মাঝে মোদী-শাহ জানান দেশে আপাতত এনআরসি হবে না। তবে, বিজেপির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল সিএএ-এনআরসি। তাই বিরোধিদের অভিযোগ, আপাতত এনআরসি হবে না বলে পরিস্থিতি সামালের চেষ্টা করছে গেরুয়া বাহিনী। আসলে বিভেদের রাজনীতিকেই পুঁজি করেছে তারা।
পাল্টা কৌশল হিসাবে তাই, দেশব্যাপী প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি। পাশাপাশি, সোশাল মিডিয়াতেও সিএএ-র পক্ষে ঝড় তুলতে মরিয়া পদ্ম বাহিনী।
Read the full story in English