কৃষক সংগঠনের বিক্ষোভ। তার জেরেই ভাতিন্ডা বিমানবন্দর থেকে ফিরোজপুর যাওয়ার পথে প্রায় মিনিট পনের একটি ফ্লাইওভারে আটকে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। যার জেরে সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করে ভাতিণ্ডা ফিরে যান মোদী। এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কনভয়ের নিরাপত্তায় বড়সড় খামতি দেখা দিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে পাঞ্জাবের স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি সহ সড়ক পথে যাওয়ার বিষয়টি অনেক আগেই পাঞ্জাব সরকারকে জানানো হয়েছিল। তা সত্ত্বেও কংগ্রেস সরকার নিরাপত্তার উপযুক্ত ব্যবস্থা করেনি বলে অভিযোগ। তবে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চিরঞ্জিৎ সিং চান্নি প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার খামতির কথা নস্যাৎ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, 'নিরাপত্তার কোনও ত্রুটি হয়নি। তার সমাবেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার তদারকি করতে আমি গভীর রাতে জেগে ছিলাম। প্রধানমন্ত্রীরসড়ক পথে যাওয়ার পরিকল্পনা শেষ মুহূর্তে হয়, তার আগে হেলিকপ্টারে যাওয়ার কথা ছিল।'
উল্লখ্য, প্রথমে ঠিক ছিল তিনি ভাতিণ্ডা বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে ওয়্যার মেমোরিয়ালে যাবেন। কিন্তু বৃষ্টির জন্য কপ্টার ওড়া সম্ভব হয়নি। তাই তিনি প্রায় দু’ঘন্টার রাস্তা সড়কপথেই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো নিরাপত্তার বন্দোবস্তও করতে বলা হয়েছিল পাঞ্জাব সরকারকে। কিন্তু ফিরোজপুর যাওয়ার পথে মাঝে কৃষকদের বিক্ষোভে মোদীর যাত্রা আটকে যায়। যা নিয়ে শুরু হয়েছে শোরগোল।
এই ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোরও চলছে। পাঞ্জাবের কংগ্রেস সরকারকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা টুইটে লিখেছেন, 'এটা দুঃখজনক যে পাঞ্জাবের জন্য হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের সূচনা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সফর ব্যাহত হল। তবে আমরা পাঞ্জাবের অগ্রগতিতে এই ধরনের সস্তা মানসিকতা বাদা হয়ে দাঁড়াক তা চাই না, হতেও দেব না। পাঞ্জাবের উন্নয়নের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।'
নাড্ডার অভিযোগ, 'পুলিশের উচ্ছৃঙ্খলতা এবং বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সখ্যতার কারণে বিপুল সংখ্যক বাস আটকা পড়েছিল। বিষয়টি আরও খারাপ দিকে যেতে পারত। যদি তাঁকে বিষয়টি সমাধান করতে বলা হয় তাই মুখ্যমন্ত্রী চান্নিও ফোন তোলেননি। পাঞ্জাবের কংগ্রেস সরকার যে কৌশল ব্যবহার করেছে তা গণতান্ত্রিক নীতিতে বিশ্বাসী যেকোনকেও কষ্ট দেবে।'
এছাডা়ও তাঁর অভিযোগ যে, 'জনগণ যাতে এ দিনের সমাবেশ না যান তার জন্য রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।'
Read in English