দেশবাসী উপহার পেতে চলেছে অষ্টম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন। রবিবার (১৫ জানুয়ারি) দেশের ‘অষ্টম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে’র উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সকাল ১০.৩০ মিনিটে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘অষ্টম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের’ শুভ সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেকেন্দ্রাবাদ থেকে বিশাখাপত্তনমের মধ্যে চলবে এই বন্দে ভারত ট্রেন। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি এবং তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল টি সৌন্দররাজন অষ্টম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে’র উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনে উপস্থিত থাকবেন।
নতুন এই ট্রেনটি সেকেন্দ্রাবাদ এবং বিশাখাপত্তনমের মধ্যে প্রায় ৮ ঘন্টার মধ্যে দূরত্ব অতিক্রম করবে। সূত্রের খবর, ১৬ জানুয়ারি থেকে যাত্রীসাধারণের জন্য চলবে এই ট্রেন। ১৪টি এসি কোচ সহ এই ট্রেনে মোট ১১২৮ জন যাত্রী ভ্রমণ করতে পারবেন। এটি হতে চলেছে দেশের অষ্টম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে ট্রেন।
রেলের তরফে এক বিবৃতি অনুসারে, প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করবে এই ট্রেন। এটিই হতে চলেছে তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্র প্রদেশের সঙ্গে সংযোগকারী ‘প্রথম ট্রেন’। রেল সূত্রে খবর ট্রেনটি অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম, রাজামুন্দ্রি এবং বিজয়ওয়াড়া এবং তেলেঙ্গানার খাম্মাম, ওয়ারাঙ্গল এবং সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনে থামবে।
প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব
কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন ‘প্রধানমন্ত্রী মোদী আজ সেকেন্দ্রাবাদ থেকে বিশাখাপত্তনম সংযোগকারী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের সূচনা করবেন। আমি এই ‘বিশ্বমানের ট্রেন’ দুই রাজ্যকে উপহার দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জানাই যা এই দুই রাজ্যের তেলেগু ভাষাভাষী মানুষকে সংযুক্ত করবে।
রেল মন্ত্রক টুইটারে জানিয়েছে “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৫ ই জানুয়ারী সকাল সাড়ে দশটা’য় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেকেন্দ্রাবাদ থেকে বিশাখাপত্তনমের সঙ্গে সংযোগকারী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের শুভ সূচনা করবেন। প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে এই ট্রেনটি তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্র প্রদেশের দুটি তেলেগুভাষী রাজ্যের মধ্যে প্রথম সংযোগ স্থাপন করবে। ট্রেনটি অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম, রাজামুন্দ্রি এবং বিজয়ওয়াড়া স্টেশনে এবং তেলেঙ্গানার খাম্মাম, ওয়ারাঙ্গল এবং সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনে থামবে। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ট্রেনটিতে মিলবে অত্যাধুনিক যাত্রী সুবিধা। ট্রেনটি যাত্রীদের দ্রুত, আরামদায়ক এবং সুবিধাজনক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা প্রদান করবে”।