ইউক্রেন ইস্যুতে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করতে এবার ইউরোপ সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২ মে তাঁর সফর শুরু হচ্ছে। যাবেন জার্মানি, ডেনমার্ক, ফ্রান্স। ৪ মে পর্যন্ত তাঁর সফর চলবে। যে রাষ্ট্রগুলোয় তিনি যাচ্ছেন, তার মধ্যে জার্মানি এবং ফ্রান্সের প্রতিনিধিরাই বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দায়িত্বে। অতি সম্প্রতি ভারত সফরে এসেছিলেন বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের প্রতিনিধি। তাঁদের সঙ্গে বিদেশমন্ত্রী বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। কিন্তু, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সখ্যতা বজায় রেখেই ভারতকে চলতে হয়। কারণ, ইউরোপের দেশগুলো শুধু প্রথম বিশ্বের সদস্যই নয়। আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় তাদের উপেক্ষা করে চলা ভারতের পক্ষে অসম্ভব। আর, সেই কারণেই তড়িঘড়ি বিদেশ সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার বিদেশ মন্ত্রক প্রধানমন্ত্রীর ইউরোপ সফরের ঘোষণা করেছে। চলতি বছরে এটাই তাঁর প্রথম বিদেশ সফর।
সফরকালে বার্লিনে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ-এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের কথা রয়েছে। ইন্দো-জার্মান ইন্টার-গভর্নমেন্টাল কনসালেটশনস (আইজিসি)-এ তাঁদের অংশগ্রহণের কথা। চ্যান্সেলর স্কোলজ-এর সঙ্গে এবারই প্রথম আইজিসিতে অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০২১-এর ডিসেম্বরে জার্মানির চ্যান্সেলর হয়েছেন স্কোলজ। তাঁরও এটাই প্রথম আইজিসি। এখানে উভয়পক্ষেই বেশ কয়েকজন মন্ত্রীও অংশগ্রহণ করবেন। প্রধানমন্ত্রীর এই জার্মানি সফরকে দুই সরকারের সহযোগিতা জোরদার করার মাপকাঠি হিসেবে দেখতে চাইছে বিদেশ মন্ত্রক। সফরে উভয় দেশের পারস্পরিক স্বার্থ রক্ষা হবে। আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক বিষয়ে দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে মত বিনিময়ের সুযোগ ঘটবে বলেও মনে করছে বিদেশ মন্ত্রক।
সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং জার্মান চ্যান্সেলর একটি শিল্প অনুষ্ঠানে যৌথ ভাষণ দেবেন। পাশপাাশি, জার্মানিতে বসবাসরত ভারতীয়দের সঙ্গেও কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতীয় শিল্পপতিদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানাবেন। ২০২১ সালেই ভারত ও জার্মানির কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৭০ বছর পূর্ণ হয়েছে। শুধু তাই নয়, ২০০০ সাল থেকে দুই দেশ পরস্পরের সঙ্গে কৌশলগত মিত্রতার বন্ধনেও আবদ্ধ হয়েছে।
Read story in English