উপত্যকা থেকে ধারা ৩৭০ প্রত্যাহারের পর এই প্রথম বড় সফরে প্রধানমন্ত্রী। একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের লক্ষ্যে ভূস্বর্গে পৌঁছলেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী। ভারতের প্রধানমন্ত্রী এই অঙ্গরাজ্যকে নতুন করে সাজিয়ে তুলতে উন্নয়নে ভরিয়ে দিতে চান। প্রকল্পের ডালি হাতে সেজন্যই তাঁর এই জম্মু সফর।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর (পিএমও) জানিয়েছে, 'জম্মু ও কাশ্মীরে ২০১৯ সালের আগস্ট-এ সাংবিধানিক সংস্কারের পর থেকে, কেন্দ্রীয় সরকার উপত্যকায় শাসনব্যবস্থার উন্নতি এবং জীবনযাত্রার মান বাড়াতে ব্যাপকভাবে মনোনিবেশ করেছে।' প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেই আজ কাশ্মীরে পা রাখলেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর একদল শিল্পপতি। জম্মু কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তে বিনিয়োগের সম্ভাবনা দেখবেন তাঁরাও। নেতৃত্বস্থানীয় একটি ইসলামিক রাষ্ট্রের শিল্পপতিদের নিয়ে গিয়ে জম্মু কাশ্মীরের মাটিতে উন্নয়নকে একটি নয়া মাত্রায় উন্নীত করতে চায় মোদী সরকার।
২০১৯ সালের আগস্টের পর এটাই মোদীর প্রথম বড় জম্মু-কাশ্মীর সফর। কেন্দ্রীয় সরকার যখন ৩৭০ ধারা বাতিল করে, তখনই উপত্যকাকে ভেঙে দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে দিয়েছিল। এর আগে ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর অবশ্য তিনি নওশেরা জেলায় সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে দীপাবলি পালন করেছিলেন। তবে, সেটা ছিল সংক্ষিপ্ত জম্মু-কাশ্মীর সফর। উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসে এই প্রথম জম্মুতে মোদী। এর আগে, ২০১৯ সালের এপ্রিলে শেষবার তিনি জম্মু-কাশ্মীর সফর করেছিলেন।
আরও পড়ুন- বিচার বিভাগের ওপর বিশ্বাস টিকিয়ে রাখতে ভাষাই বাধা, মত প্রধান বিচারপতির
আজ জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ দিবস। সাম্বায় এই ফলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ প্রধানমন্ত্রীর। এখানেই মোদী প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। আজাদি কা অমৃত মহোৎসব উদযাপনের অংশ হিসেবে দেশের প্রতিটি জেলায় ৭৫টি জলাশয়ের উন্নয়ন এবং পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে অমৃত সরোবর প্রকল্পও চালু করবেন। ৩,১০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে নির্মিত বানিহাল-কাজিগুন্ড রোড টানেলেরও উদ্বোধন করার কথা রয়েছে মোদীর।
Read story in English