শনিবার 'স্মার্ট ইন্ডিয়া হাকাথন ২০১৯' আলোচনাসভায় ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি) রুড়কির পড়ুয়াদের সঙ্গে আলাপচারিতায় যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই আলচনাসভা থেকেই বিতর্কের শুরু। বিশেষ ভাবে সক্ষম মানুষদের অধিকার নিয়ে লড়াই করা আন্তর্জাতিক সংস্থা দ্য ন্যাশনাল প্ল্যাটফর্ম ফর দ্য রাইটস অব দ্য ডিসেবল্ড (এনপিআরডি) প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অসংবেদনশীল এবং অসম্মানজনক মন্তব্য করার অভিযোগ এনেছে।
রবিবার এনপিআরডি-র পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী যেন তাঁর মন্তব্যের জন্য বিশেষ ভাবে সক্ষমদের কাছে ক্ষমা চান। "কোনও অবস্থাতেই একজন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এমন মন্তব্য মেনে নেওয়া যায় না। এমন মন্তব্য করার অর্থ 'বিশেষ ভাবে সক্ষম মানুষের অধিকার আইন, ২০১৬'-কেও অসম্মান করা, যা আদতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আর কিছু না হলেও তাঁর মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অন্ততপক্ষে ক্ষমা চাইতেই হবে"।
জনপ্রিয় বলিউডি সিনেমা 'তারে জমিন পর'-এর উদাহরণ টেনে এক বিটেক ছাত্র আলচনাসভায় ডিজলেক্সিয়ার প্রসঙ্গ টেনে আনেন। ওই ছাত্র সঙ্গে এও বলেন, ডিসলেক্সিয়া আক্রান্ত শিশুরা সাধারণত খুব ধীর গতিতে লিখতে এবং পড়তে পারে কিন্তু এদের সৃজনশীলতা এবং বুদ্ধিমত্তার মান খুব উঁচু থাকে"। ছাত্রীকে মাঝপথে থামিয়ে মোদী প্রশ্ন করেন, "৪০-৫০ বছরের এক শিশুকে সাহায্য করার কোনও রাস্তা জানা আছে তোমার? থাকলে, শিশুটির মা খুব খুশি হবেন"।
আরও পড়ুন, স্ত্রী পরিত্যাগের শাস্তিস্বরূপ ৪৫ জন অনাবাসী ভারতীয়ের পাসপোর্ট বাতিল
এনপিআরডি তাঁদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, মোদী এ ক্ষেত্রে তাঁর রাজনৈতিক বিপক্ষকে কটাক্ষ করার ছলে ডিজলেক্সিয়া আক্রান্তদের প্রতি অসংবেদনশীলতার ছাপ রেখেছেন। অসংবেদনশীলতা যখন প্রধানমন্ত্রীর মতো উচ্চতার কোনও এক পদের মানুষের কাছ থেকে আসে, স্বাভাবিকভাবেই তার প্রভাব অনেক বেশি হয়। ২০১৪-এর লোকসভাতেও প্রতিপক্ষ কে ছোট করার উদ্দেশে 'অন্ধ', 'খোঁড়া' কিমবা 'বধির' এই শব্দগুলি ব্যবহার করেছিলেন"।
প্রসঙ্গত, বর্তমান কংগ্রেস সভাপতিও অবশ্য মোদীকে বর্ণনা করতে গিয়ে 'স্কিৎজোফ্রেনিক বলে আক্রমণ করেছিলেন।
Read the full story in English