PM Modi UNGA 2019 highlights: আন্তর্জাতিক শান্তি এবং উন্নয়নে ভারত সবসময় বদ্ধপরিকর। গত পাঁচ বছরে তাঁর সরকারের পদক্ষেপের কথা ব্যাখ্যা করে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার মঞ্চে সে কথাই তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। উন্মুক্ত শৌচালয়, দূষণ রোধ থেকে প্লাসটিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি সহ নানা কথা বলললেন তিনি। একই সঙ্গে হিন্দিতে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের ছত্রে ছত্রে ছিল কৌশল। এদিনের সভায় তিনি একবারও পাকিস্তানের নাম করেননি। কিন্তু, তাঁর বক্তব্যের নিশানায় ছিল প্রতিবেশী দেশটি। তিনি বলেন, 'আমাদের দেশ যুদ্ধ নয়, বুদ্ধ দিয়েছে বিশ্বকে।' এরপরই তাঁর সংযোজন, 'আমরা যখন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলি, তখন তার মধ্যে গোটা বিশ্বকে সতর্ক করার জন্য আমাদের দায়বদ্ধতা থাকে। আমি বিশ্বাস করি, কোনও একটি দেশ নয়, গোটা বিশ্বমানবতার সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এই মুহূর্তে সন্ত্রাসবাদ।'
বসুধৈব কুটুম্বকম্' অর্থাৎ গোটা বিশ্ব একটা পরিবার। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ও বিশ্বকল্যাণের কাজে বিশ্বকে এক হতে হবে। এই বিষয়টির উপর রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সবার মঞ্চে গুরুত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী। বক্তব্যের মাঝে তুলে ধরেন, তামিল দার্শনিক কানিয়ান পুনগুনদ্রানার কথা। বলেন, ''বিশ্বের প্রাচীনতম ভাষা তামিলে কানিয়ান পুনগুনদ্রানার বলেছিলেন, সকল জায়গার সঙ্গে আমাদের আত্মার টান। সকলে আমাদের আপনজন। তিন হাজার বছর আগে একথা বলছিলেন। এটাই ভারতের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।'
আরও পড়ুন: টালা ব্রিজে বন্ধ বাস ও পণ্যবাহী যান চলাচল, ছুটবে শুধু ছোটো গাড়ি
একদিকে বিশ্ব কল্যাণ অন্যদিকে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল এই দুটি বিষযের উপর সাজানো। তাঁর কথায়, 'জনকল্যাণে ভারতের কাজ দয়া বা নিজেকে মেলে ধরার নয়, এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য। ১৩০ কোটি ভারতীয়কে মাথায় রেখে কাজ করে চলছে আমার সরকার। শুধু দেশের জন্য নয়, সারা বিশ্বের কথা ভাবছি। প্রতিটি দেশের, প্রতিটা সমাজের জন্য কাজ করে চলেছে ভারত।'
সবার সঙ্গে নতুন ভারত গড়ার প্রতিশ্রুতির কথা বলেন নরেন্দ্র মোদী। মনে করিয়ে দেন, বিশ্বের ১৯৩টি দেশ জোটবদ্ধ বলে সন্ত্রাসবাদ ও বিশ্বের কল্যাণ সাধন অন্য উচ্চতায় পৌঁছবে। নতুন এক বিশ্ব গড়ে উঠবে।
প্রদানমন্ত্রী মোদীর পরেই রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় বক্তব্য পেশ করেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। মোদী যখন একই মঞ্চে বিশ্ব কল্যাণের কথা বলে অন্য দেশের রাষ্ট্রনেতাদের মন জয় করলেন তখন যুদ্ধের কথা 'কাপ্তানের' মুখে। তিনি বলেন, 'দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে যে কোনও কিছুই ঘটতে পারে। একটা দেশ পড়শির থেকে সাত গুণ ছোট, তাহলে দুটো বিকল্প হাতে থাকে। হয় আত্মসমর্পণ নয়তো স্বাধীনতার জন্য মৃত্যুবরণ।' তাঁর হুমকি, 'আমরা লড়াই করব। কিন্তু, যখন পরমাণুশক্তিধর রাষ্ট্র জীবনমরণ লড়াই করে তখন তার ফল সীমা ছাড়িয়ে যেতে পারে।'
ইমরান খানের বক্তব্যের বিরোধিতা করেছে নয়াদিল্লি। বিদেশমন্ত্রকের প্রথম সচিব বিদিশা মৈত্র বলেন, 'পাক প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য রাষ্ট্র নেতাসুলভ নয়। সমস্যা সমাধানের বদলে ধ্বংসাত্মক পক্রিয়া প্রয়োগ করার চর্চাই তাদের বিশেষত্ব'। তাঁর সংযোজন, 'পাকিস্তান কি স্বীকার করবে যে তারা রাষ্ট্রসংঘ ঘোষিত আলকায়দা জঙ্গিদের অবসর ভাতা দান করে? ইমরান খান কি নিউ ইয়র্কে দাঁড়িয়ে অস্বীকার করতে পারবেন যে তিনি একসময় প্রকাশ্যে ওসামা বিন লাদেনকে সমর্থন করেছিলেন?'
Read the full story in English