নিজের এলাকার প্রতিটি বুথে অন্তত ৭৫ শতাংশ ভোটদান নিশ্চিৎ করতে হবে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বিজেপি কর্মীকে। জাতীয় ভোটের দিবসে দলীয় নেতৃত্বের কাছে এই আর্জি জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার নমো অ্যাপের মাধ্যমে গুজরাটের বিজেপির 'পান্না প্রমুখ'দের বার্তা দেন মোদী। জনসংঙ্ঘের আমলে যেসব কর্মী আত্মত্যাগ করেছেন তাঁদের পরিবারের পুঙ্খাপুঙ্খ খোঁজখবর নেওয়া যে বুথস্তরের বিজেপি নেতৃত্ ও কর্মীদের কর্তৃব্য তাও মনে করিয়ে দেন মোদী।
স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ উদযাপনে বিজেপি নানা কর্মসূচি নিয়েছে। বিজেপি ও জনসঙ্ঘের জন্য আত্মত্যাগকারী সব নেতৃত্বের পরিবারের কাছে বর্তমান দলীয় কর্মীদের যাওয়ার বিষয়টি তারই অঙ্গ। এছাড়া অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিজেপি কর্মীদের উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এরজন্য অর্থ সংগ্রহেরও কথা বলা হয়েছে।
বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য ১৯৫১ সালের ২৫ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছিল। যা বর্তমানে গোটা বিশ্বের কাছে মডেল। কিন্তু ১৯৫১-এর পর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেওয়ার গড় হার বেড়ে হয়েছে মাত্রা ৬৭ শতাংশ।
মোদীর কথায়, 'সব রাজনৈতিক দলেরই ভাবা উচিত কেন ভোটদানের হার তেমন বাড়ছে না। শহরের মানুষ সোশাল মিডিয়ায় সক্রিয় হলেও ভোট দিতে যান না। এই প্রবণতার পরিবরত্ন প্রয়োজন।' এরপরই তাঁর আর্জি, 'আমরা কি একটি অঙ্গীকার নিতে পারি যে আমাদের পান্না প্রধানরা দেখবেন যেন স্বাধীনতার এই ৭৫তম বছরে, তাদের বুথে ৭৫ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি রয়েছে।'
কম বয়সীরা ভোটদানের পর আঙুলে কালীর ছবি দিয়ে ছবি পোস্ট করেন। যা কার্যত ভোটের সময় ফ্যাশনে পরিণত হয়। এই বিষয়টি তাঁর পছন্দের বলে জানিয়েছেন মোদী।
ওয়ান নেশন, ওয়ান ইলেকশনের পাশাপাশি ওয়ান নেশন, ওয়ান ভোটার লিস্ট নিয়ে বিতর্ককে বাঁচিয়ে রাখারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। 'আলোচনা চালিয়ে যাওয়া উচিত, তবেই কিছু পরিণতি মিলবে। আমরা সবাই জানি যে ঘন ঘন নির্বাচন কীভাবে কাজকে প্রভাবিত করে।' ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মোদী একক নির্বাচনের ধারণার ওপর জোর দিয়েছেন।
জরুরি অবস্থায় সময় জনসঙ্ঘের যেসব নেতারা আত্মত্যাগ করেছেন থাঁদেরকথা তুলে ধরলে বর্তমান প্রজন্ম অনুপ্রাণিত হতে পারে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।
Read in English