Indian Navy: বাংলাদেশ পাকিস্তানের খেলা শেষ করে চিনের ঘুম উড়িয়ে দেবে ভারত! খুঁজে খুঁজে মারবে শত্রুপক্ষকে। শেষ হতে চলেছে চোখরাঙানি!
তিন অত্যাধুনিক যুদ্ধ জাহাজ আজ জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। দেশের সামুদ্রিক নিরাপত্তায় কার্যত বিপ্লব আনতে চলেছে এই তিন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যুদ্ধ জাহাজ। তিন যুদ্ধ জাহাজ ভারতের হাতে এসে যাওয়ায় গোটা বিশ্বেই ভারতের নৌসেনার দাপট আরও বেশ কিছুটা যে বাড়ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ মুম্বইয়ের নৌ ডকইয়ার্ডে দুটি যুদ্ধজাহাজ এবং একটি সাবমেরিন জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছেন। এগুলি হলো যুদ্ধজাহাজ আইএনএস সুরাট এবং আইএনএস নীলগিরি এবং সাবমেরিন আইএনএস ভাগশীর। ভারতীয় নৌবাহিনীতে এই তিনটি অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ আসার ফলে নৌবাহিনীর শক্তি আগের থেকে কয়েকগুণে বাড়বে। ভোলবদলে যাবে দেশের সমুদ্র নিরাপত্তায়। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আজকের এই দিন এক নয়া মাইলফলকের সূচনা করল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী X-এ এক পোস্টে লিখেছেন, "বুধবার ১৫ জানুয়ারি আমাদের নৌ-বাহিনীর জন্য একটি বিশেষ দিন হতে চলেছে। তিনটি নতুন যুদ্ধ জাহাজ পাচ্ছে নৌবাহিনী। যা দেশকে আরও শক্তিশালী করতে এবং আত্মনির্ভর ভারতের ভিত্তিকে আরও জোরদার করবে। "
আইএনএস সুরাটের বিশেষত্ব:
P15B গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার প্রকল্পের চতুর্থ এবং শেষ যুদ্ধজাহাজ
দৈর্ঘ্যে ১৬৪ মিটার এবং ৭০,০০০ টন ভার বহন করতে পারে
সমুদ্রে গতিবেগ ৩০ নট (প্রায় ৫৫ কিলোমিটার) গতিবেগ
বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে উন্নত ডেস্ট্রয়ারগুলির মধ্যে একটি।
এই জাহাজে ৭৫% দেশীয় উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে।
অত্যাধুনিক অস্ত্র-সেন্সর শত্রুপক্ষকে খুঁজে বের করতে থাকতে আরও উন্নত নেটওয়ার্ক
আইএনএস সুরাটের নির্মাণ কাজ ২০১৯ সালের নভেম্বরে শুরু হয়েছিল। একই সময়ে, এটি ২০২২ সালের মে মাসে চালু হয়।
আইএনএস নীলগিরি:
P17A স্টিলথ ফ্রিগেট প্রকল্পের প্রথম জাহাজ
১৪৯ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৬৬৭০ টন ভার বহন ক্ষমতা
সমুদ্রে দীর্ঘমেয়াদী অভিযান পরিচালনার ক্ষমতা।
দেশীয় পরবর্তী প্রজন্মের ফ্রিগেটের একটি ক্লাসিক উদাহরণ
দেশের সামুদ্রিক নিরাপত্তা আরও জোরদার করবে
ভারী ক্ষেপণাস্ত্র বহন ক্ষমতা এবং মাঝারি পাল্লার ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষমতার ক্ষেপনাস্ত্র বহন ক্ষমতা।
আইএনএস নীলগিরির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে। এটি ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে চালু হয়।
আইএনএস ভাগশির:
P75 স্করপিয়ন প্রকল্পের ষষ্ঠ এবং শেষ সাবমেরিন
৬৭ মিটার লম্বা এবং ১৫৫০ টন ওজন বহন ক্ষমতা।
ফরাসি নৌবাহিনীর সহযোগিতায় নির্মিত হয়েছে এই অত্যাধুনিক ক্ষেপনাস্ত্র।
এটি দেশকে আরও স্বনির্ভর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।