স্কুল শিক্ষকদের প্রক্সি নিয়ে এবার সরব খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একটি সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় মোদী বলেন, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের মত একাধিক রাজ্যে প্রক্সি সমস্যা এখন শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার মানোয়ন্নে শ্রেণীকক্ষে ছাত্র শিক্ষক অনুপাতকে আরও উন্নত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ধর্মশালায় অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে মোদী শিক্ষাক্ষেত্রে এই ধরণের সমস্যাকে এড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। স্কুল শিক্ষার বিষয়ে, প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনে বিস্তৃতভাবে 20 টি পরামর্শ দিয়েছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারাও সেই সম্মলেন উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি তার বক্তব্যের শুরুতে শিক্ষকদের প্রক্সির সমস্যাকে তুলে ধরেন। তিনি পরামর্শ দেন প্রক্সি এড়াতে প্রতিটি শ্রেণীকক্ষে শিক্ষকদের ছবি টানানো বাধ্যতামূলক করা উচিৎ।
রাজস্থানের মতো কিছু রাজ্য এই পদ্ধতি ইতিমধ্যেই চালু করেছে। ২০১৮ সালে প্রথম শিক্ষকদের প্রক্সি সমস্যার বিষয়টি সামনে আসে। বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে এই সমস্যার ওপর আলোকপাত করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিকদের মতে এই সমস্যাটি উত্তর-পূর্বে, বিশেষ করে নাগাল্যান্ডে একটি প্রধান সমস্যা। ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাঙ্ক তার প্রতিবেদনে জানায় গ্রামগঞ্জে সরকারি স্কুলে শিক্ষকরা নিজেরা ক্লাস না নিয়ে অন্যদের সেই ক্লাস নিতে পাঠায়।
আরও পড়ুন: <কিছুতেই যাচ্ছে না করোনা উদ্বেগ, আরও বাড়ল অ্যাক্টিভ কেস>
আরটিই আইন অনুসারে, প্রাথমিক স্তরে প্রতি ৩০ জন ছাত্রের জন্য কমপক্ষে একজন শিক্ষক থাকা উচিত, যেখানে উচ্চ প্রাথমিক স্তরে অনুপাত ৩৫:১ হওয়া উচিত। কিন্তু ইউনিফাইড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন (ইউডিআইএসই) রিপোর্ট ২০২০-২১ দেখায় যে অনেক রাজ্য এখনও কাঙ্ক্ষিত মাত্রা অর্জন করতে পারেনি। উদাহরণস্বরূপ, বিহারে, প্রাথমিক স্তরে পিটিআর ৫৭:১ এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ৬০:১; ঝাড়খণ্ডে ৩০:১ এবং ৫৫:১।
লোকসভায় একটি প্রশ্নের উত্তরে, কেন্দ্র ২০২১ সালে জানায়বিহারে ৬৬ শতাংশ সরকারি স্কুল রয়েছে যে সকল স্কুলে ছাত্র-শিক্ষক কাঙ্ক্ষিত মাত্রা এখনও অর্জন করতে পারেনি। ২০২১ সালে প্রকাশিত ইউনেস্কোর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, দেশে প্রায় ১.২ লক্ষ একক-শিক্ষক বিদ্যালয় রয়েছে, যার মধ্যে .৮৯ শতাংশই গ্রামীণ এলাকায়। ইউনেস্কোর একক-শিক্ষক বিদ্যালয়ের নিরিখে প্রথম অরুণাচল প্রদেশ (১৮.২২ শতাংশ), গোয়া (১৬.০৮ শতাংশ), তেলেঙ্গানা (১৫.৭১ শতাংশ), অন্ধ্র প্রদেশ (১৪.৪ শতাংশ), ঝাড়খণ্ড (১৩.৮১ শতাংশ), উত্তরাখণ্ড (১৩.৬৪ শতাংশ), মধ্যপ্রদেশ (১৩.০৮ শতাংশ), রাজস্থান (১০.০৮ শতাংশ)।