'ভারত হবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি, ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবে'। প্রবল আত্মবিশ্বাস ধরা পড়ল মোদীর গলায়।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর সঙ্গে কথোপকথনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জি-২০, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন। জেনে নিন প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাক্ষাৎকারের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি ।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অর্থনীতি, জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন এবং দেশের সংস্কৃতি নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন যে ভারতের G-20 সভাপতিত্ব অনেক ইতিবাচক ফলাফল নিয়ে এনেছে এবং এর মধ্যে কিছু "দেশকে আগামীর লক্ষ্যপূরণে সাহায্য করবে"। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি বলেছিলেন, ভারত পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে চাই যে আমাদের সরকারের তৃতীয় মেয়াদে, ভারত বিশ্বের শীর্ষ তিনটি অর্থনীতির মধ্যে থাকবে।’ মোদী বলেছে ভারত ২০৪৭ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ হিসাবে আবির্ভূত হবে। দুর্নীতি, জাতপাত ও সাম্প্রদায়িকতার প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন মোদী। তিনি বিশ্বব্যপী মুদ্রাস্ফীতি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও তাঁর মতামত প্রকাশ করেছেন।
পিটিআই-সঙ্গে সাথে কথা বলার সময়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ' G20-এ আমাদের কথা এবং দৃষ্টিভঙ্গিতেই শুধু তুলে ধরবে এমন নয়, এটি হতে চলেছে ভবিষ্যতের জন্য একটি রোডম্যাপ। পাশাপাশি মোদী বলেন, বহুকাল ধরে ভারতকে এক বিলিয়ন ক্ষুধার্ত মানুষের দেশ হিসেবে দেখা হতো। এখন ভারত এক বিলিয়ন উচ্চাভিলাষী মানুষের দেশ হিসাবে দেখা হয়। প্রধানমন্ত্রী মোদী এদিন বলেন, ভারত ২০৪৭ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে। একই সঙ্গে অরুণাচল প্রদেশ ও কাশ্মীরে জি-২০ বৈঠক নিয়ে চিন ও পাকিস্তানের আপত্তি প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি প্রান্তে বৈঠকের আয়োজন করা স্বাভাবিক।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'আলোচনা এবং কূটনীতিই একমাত্র উপায় যার মাধ্যমে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন দ্বন্দ্ব সমাধান করা যায়।' একই সঙ্গে সাইবার ক্রাইম নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা শুধু প্রয়োজনীয় নয়, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণও। সন্ত্রাসবাদ ও অবৈধ আর্থিক লেনদেনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাইবার স্পেস দিয়েছে ভিন্ন ও নতুন মাত্রা। সাইবার হুমকি খুব গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত। সাইবার সন্ত্রাস, অনলাইন ধর্মীয় গোঁড়ামি এবং মানি লন্ডারিং একটি বড় সমস্যার ছোট আভাস মাত্র। সন্ত্রাসবাদীরা ক্রিপ্টোকারেন্সি, মেটাভার্স এবং ডার্কনেট ব্যবহার করছে তাদের ঘৃণ্য পরিকল্পনা পূরণ করতে। এতে দেশের সামাজিক কাঠামোরও ক্ষতি হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, 'ভুয়ো খবর সমাজে উদ্বেগ তৈরি করতে পারে। এর পাশাপাশি এটি সংবাদের উৎসের বিশ্বাসযোগ্যতাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। সামাজিক অস্থিরতা প্রচারের জন্যও ভুয়া খবর ব্যবহার করা যেতে পারে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'গত নয় বছর ধরে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে অনেক সংস্কার হয়েছে। এর স্বাভাবিক ফল অর্থনৈতিক অগ্রগতি।