সরকারের কাজে গতি আনতে আরও বেশি তৎপরতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। কেন্দ্রের ৭৭ জন মন্ত্রীকে ৮টি দলে ভাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রশাসনিক কাজে দক্ষতা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ৭৭ জন সদস্যকে ৮টি দলে ভাগ করে প্রযুক্তি ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এমনকী সরকারের কাজ মসৃণ গতিতে চালাতে সাহায্যের জন্য প্রয়োজনে দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগের পরামর্শ নরেন্দ্র মোদীর। কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ পর্যালোচনায় 'চিন্তন শিবির'-এর আয়োজন করা হয়েছিল। সেই শিবিরেই এই পদক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর।
কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক কাজ দক্ষ ও সচ্ছভাবে রূপায়নের জন্য এবার বড়সড় পদক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। এবার কেন্দ্রের কাজে সাহায্য করতে এগিয়ে আসার সুযোগ পাবেন তরুণ পেশাদাররা। এমনকী অবসরপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্তা, আমলারাও বিভিন্ন কাজে কেন্দ্রীয় সরকারকে পরামর্শ-সাহায্য করতে পারবেন। প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে সব ধরনের পরামর্শ ও সাহায্যকে সঙ্গে নিয়েই কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের মন্ত্রীদের নিয়ে তৈরি ৮টি দল এই কাজের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকবে।
প্রযুক্তি নির্ভর সম্পদকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে কেন্দ্রের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সেব্যাপারে মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সব মিলিয়ে সরকারের কাজে দক্ষতা বাড়াতে এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখতে মন্ত্রীদের নিয়ে দল তৈরি করে কাজ ভাগাভাগি করে দিতে চেয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরের কাজ নিয়ে আলোচনা করতে মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকেরই নাম দেওয়া হয়েছিল চিন্তন শিবির। একটানা পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলে সেই বৈঠক। ব্যক্তিগত দক্ষতা, কেন্দ্রীভূত বাস্তবায়ন, মন্ত্রকের কার্যকারিতা, স্টেকহোল্ডারদের সম্পৃক্ততা, দলীয় সমন্বয়, কার্যকর যোগাযোগ এবং সংসদীয় অনুশীলন নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন- দেশের সংক্রমণ-গ্রাফ নিম্নমুখী, ৫২৩ দিনে সর্বনিম্ন অ্যাক্টিভ কেস
কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন বিভাগের কাজের গতি বাড়ানো ও স্বচ্ছতা বজায় রাখাই এই ধরনের বৈঠকগুলির মূল আলোচ্য বিষয়। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের কাজে দক্ষতা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে তৈরি প্রতিটি দলে ৯-১০ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রয়েছেন। এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দলের কোঅর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। অন্য একটি দলকে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের অভিজ্ঞতা ও মতামত নিয়ে একটি পোর্টাল তৈরির কাজ দেওয়া হয়েছে।
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন