অপেক্ষার অবসান। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর হাতে সূচনা হল বিশ্বের দীর্ঘ সুড়ঙ্গপথ 'অটল টানেল'র। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০ হাজার ফুট উঁচুতে হিমালয়ের পির পাঞ্জল রেঞ্জে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি হয়েছে এই টানেল। দৈর্ঘ্য ৯.২ কিলোমিটার।
Advertisment
প্রধানমন্ত্রী মোদী ছাড়াও এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত ও সেনা প্রধান এম এম নারাভানে।
শীতে বরফ পড়ায় মানালি থেকে লেহ সড়কপথ ৬ মাস বন্ধ থাকে। 'অটল টানেল'র মাধ্যমে এবার সারাবছরই এই পথে সংযোগ রক্ষা করা সম্ভব হবে। এখন মানালি থেকে লেহ যাত্রার সময় বাঁচবে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা। উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদ বলেছেন, 'অটল টালেনের ফলে ভারতীয় সীমান্ত পরিকাঠামো পোক্ত হল। সীমান্ত সংযোগ বিশ্ব পর্যারে হল। সীমান্ত পরিকাঠো উন্নয়ের দাবি অনেকদিনের। কিন্তু এর আগে হয় সেই পরিকল্পনা হয়নি, অথবা শুরু হলেও মাঝপথেই থমকে গিয়েছে। সংযোগ উন্নয় ঘটাতে সহায়তা করে। সীমান্তে সংযোগের উন্নতি দেশের সুরক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত।'
শীতকালে লাদাখের পরিস্থিতি কেমন থাকবে? বর্তমানে ভারত-চিন সীমান্ত সুরক্ষায় এটাই অন্যতম চর্চার বিষয়। লাদাখের খুব কাছে আকসাই চিন, জিনজিয়াং এবং তিব্বতে সেনা মোতায়েন রেখেছে চিন। জবাবে ভারতও সৈন্য বহর বাড়িয়েছে লাদাখে। তারই মাঝে সীমান্তে শান্তি ফেরানোর আলোচনা চলছে দুই দেশের মধ্যে। এই আবহেই উদ্বোধন হল 'অটল টানেলে'র। এই টানেলের মাধ্যমে এবার শীতকালেও লাদাখে পৌঁছবে সেনা যান। ফলে চিনের ঘুম ওড়ার জোগাড়। শীতকালে এবার লাদাখে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকবেভারতীয় সেনাবাহিনী।
২০০০ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী সুড়ঙ্গপথটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সুড়ঙ্গপথ নির্মাণে সময় ধার্য হয়েছিল ৬ বছর। তবে শেষ হতে হতে লেগে গেল ১০ বছর। মোদী জমানায় প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর নামে এই পথের নামকরণ করা হয়।
অশ্বখুরাকৃতি এই টানেলটি সিঙ্গেল টিউব, ডাবল লেন টানেল। রাস্তা চওড়ায় প্রায় ৮ মিটার। টানেলের ওভারহেড ক্লিয়ারেন্স ৫.৫২৫ মিটার। টানেলের মধ্যে ৩.৬×২.২৫ মিটার ফায়ার প্রুফ জরুরি এক্সিট রয়েছে।