প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের অতি দ্রুত সংক্রমণের মোকাবিলায় আজ মধ্যরাত থেকে গোটা দেশে আগামী ২১ দিনের জন্য জারি হলো লকডাউন। আজ জাতির উদ্দেশে ভাষণে তেমনটাই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের সরবরাহ নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে দেখা দিয়েছে উৎকণ্ঠা। তবে এই আবহে সরকারের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে গত রবিবারের জনতা কার্ফুর দিন যা যা পরিষেবা চালু ছিল, তা সবই বজায় থাকবে। অর্থাৎ মুদির দোকান, ওষুধের দোকান, এটিএম-এর মতো জরুরি পরিষেবা খোলা থাকবে।
তাঁর ভাষণের পরেই টুইট করে মোদী বলেন, "আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য, ওষুধ সব মজুত থাকবে (লকডাউন চলাকালীন)। তা নিশ্চিত করতে একযোগে কাজ করবে কেন্দ্র এবং বিভিন্ন রাজ্য সরকার।"
যদিও প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন "যাই হয়ে যাক, বাড়িতে থাকার", বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় থাকছে। দেখে নিন কী কী :
#রেশন সহ খাদ্য, মুদি দোকান, শাকসব্জি, ফল, মাংস, মাছ, পাঁউরুটি ও দুধ বিক্রি, পশুখাদ্য, মজুত ও পরিবহণ। তবে জেলা কর্তৃপক্ষ এইসব সামগ্রী বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা (হোম ডেলিভারি) করলে দোকান-বাজারে যাওয়ার জন্য জনসাধারনকে বাড়ির বাইরে বেরোতে হবে না
#সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং সংশ্লিষ্ট সবরকম চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ও উৎপাদন সংস্থা খোলা থাকবে। চালু থাকবে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা। স্বাস্থ্যকর্মীদের গতবিধির ওপর কোনোরকম নিষেধাজ্ঞা জারি হবে না। খোলা থাকবে সবরকম ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের দোকান
#পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী ও আধা সেনা সক্রিয় থাকবে
#ব্যাঙ্ক ও এটিএম, এবং বীমা সংস্থার অফিস খোলা থাকবে
#প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক সংবাদমাধ্যম চালু থাকবে
#টেলিকম, ইন্টারনেট, তথ্যপ্রযুক্তি, তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর পরিষেবা, কেবল (cable) পরিষেবা, ডাকবিভাগ যথাসম্ভব চালু থাকবে
#মুদির দোকানের সামগ্রী ও খাবারের ই-কমার্স, ও বাড়ি বাড়ি পৌঁছনোর পরিষেবা চালু থাকবে
#পেট্রোল পাম্প, গ্যাস, তৈল সংস্থার গুদাম ও পরিবহণ যথারীতি চলবে
#যেসব সংস্থাকে নিয়মিত উৎপাদন চালিয়ে যেতে হয়, তাদের কাজও চলতে পারে, তবে সেক্ষেত্রে জেলাশাসকের অনুমতি লাগবে
#অত্যাবশকীয় পণ্যের জন্য প্রয়োজনীয় উৎপাদন সংস্থা চালু থাকবে
#কোল্ড স্টোরেজ পরিষেবা চালু থাকবে
#বিদ্যুৎ, জল ও সেগুলির বিতরণ সংস্থা ও পরিষেবা চালু থাকবে
#দমকল, অসামরিক নিরাপত্তা ও আপৎকালীন ব্যবস্থা চালু থাকবে
কী কী বন্ধ থাকবে
#সমস্ত রকমের যান চলাচল বন্ধ থাকবে, আকাশপথে এবং স্থলপথে। তবে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বহনকারী গাড়ির ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। দমকল ও আইনশৃঙ্খলা এবং চিকিৎসার স্বার্থে ব্যবহৃত যানবাহনও যথারীতি চালু থাকবে
#সমস্ত দোকান, বাণিজ্যিক সংস্থা, অফিস, কারখানা, ওয়ার্কশপ, গোডাউন বন্ধ থাকবে
#সবরকম শিক্ষা, গবেষণা, প্রশিক্ষণ, এবং কোচিং প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে
#সমস্ত ধর্মীয় স্থান দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ থাকবে। কোনও ধরনের ধর্মীয় সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ক্ষেত্রে ২০ জনের বেশি একত্রিত হতে পারবেন না
#আপৎকালীন কারণ ছাড়া, সকলকেই বাড়িতে থাকতে হবে এবং বাড়ির বাইরে বেরোতে হলে কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলতে হবে। অন্যথায় জরিমানা করার কথা এর আগেই ঘোষিত হয়েছে।