প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জীবনে কখনও বিদেশযাত্রার সময়ে হোটেল বুক করেনি। তিনি বিমানবন্দরে স্নান করেন এবং প্লেনে ওঠেন। লোকসভায় এ কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এসপিজি (সংশোধনী) বিল নিয়ে বিতর্কের জবাব দিতে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, "এর আগে প্রধানমন্ত্রী যখন বিদেশ যেতেন, তখন জ্বালানি ভরার সময়ে বা প্রযুক্তিগত কারণ রাতে থাকতে হলে তাঁর জন্য হোটেল বুক করা হত। এখনও পর্যন্ত প্রযুক্তিগত কারণে বিমানের দেরি হলে একটি রাতও তিনি হোটেলে কাটাননি। তিনি বিমানবন্দরে থাকেন, সেখানেই স্নান সেরে নেন, এবং তেল ভরা হলে ফের রওনা দেন।"
অমিত শাহ মোদীকে আন্তর্জাতিক সফরে ২০ শতাংশ কর্মী কমানোর ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নেবার জন্য অভিনন্দন জানান।অমিত শাহ বলেন, "আগে সমস্ত সফরসঙ্গীদের জন্য আলাদা গাড়ি থাকত। মোদী জানিয়ে দিয়েছেন চার থেকে পাঁচজন এক গাড়িতে যাবেন বা বাসের বন্দোবস্ত করা হবে।" গান্ধী পরিবার সম্পর্কে তিনি বলেন, এসপিজি নিরাপত্তার আওতায় থাকা তিনজন ৬০০ বার নিরাপত্তার নিয়ম ভঙ্গ করেছেন।
অমিত শাহ বলেন, ২০১৫ সাল থেকে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এসপিজিকে না জানিয়ে ১৮৯২ বার ভারতের মধ্যে এবং ২৪৭ বার বিদেশে যাতায়াত করেছেন।তিনি বলেন, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এসপিজির বুলেটপ্রুফ গাড়ি ছাড়া ৫০ বার দিল্লিতে, ১৩ বার দিল্লির বাইরে গিয়েছেন এবং নিরাপত্তাবাহিনীকে না জানিয়ে ২৪ বার বিদেশভ্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, ওই একই সময়কালে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ৩৩৯ বার দিল্লিতে এবং ৬৪ বার ভারতের অন্যত্র এসপিজি-কে না জানিয়ে ভ্রমণ করেছেন। অমিত শাহ বলেন, ১৯৯১ সাল থেকে ৯৯ বার বিদেশভ্রমণ করেছেন প্রিয়াঙ্কা, এর মধ্যে ৭৮ বার এসপিজি নিরাপত্তা ছাড়াই।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বশত এসপিজি নিরাপত্তা সরানো হচ্ছে বলে কংগ্রেস যে অভিযোগ করেছে, তা উড়িয়ে দিয়ে অমিত সাহ বলেন, নরেন্দ্র মোদীর সরকার কখনও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা প্রণোদিতভাবে কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না।