বিগত ২৩ দিন ধরে ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। বিশ্বের একাধিক দেশের মত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও যুদ্ধ নিয়ে উদ্বিগ্ন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ডিজেরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, প্যালেস্তাইনি নেতা আব্বাস মাহমুদ, জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ সহ অনেক দেশের প্রধানদের সঙ্গে এই সংকট নিয়ে আলোচনা করেছেন। এদিকে শনিবার (২৮ অক্টোবর) মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কথোপকথনে উভয় নেতা ইসরাইল- হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
নরেন্দ্র মোদী এবং আল-সিসির ইজরায়েল ও গাজায় কীভাবে শান্তি ও স্থিতিশীলতা তৈরি করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেন। মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ দুই নেতার কথোপকথনের বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন মোদী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, গতকাল মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফতেহ আল সিসির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তার সঙ্গে পশ্চিম এশিয়ার নিরাপত্তা ও মানবিক সংকট নিয়ে আলোচনা করেন। সন্ত্রাস, হিংসা ও সাধারণ মানুষের প্রাণহানির বিষয়ে ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সন্ত্রাস ও হিংসার বিষয়ে আমাদের উভয়েরই অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য মানবিক সহায়তা প্রদানে আমরা ঐক্যবদ্ধ।
দুদিন আগে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘাত বন্ধে সচেষ্ট হওয়ার জন্য বিশ্বের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এরপর আবদেল ফাত্তাহর সঙ্গে আলাপ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মোদী ও আল-সিসির মধ্যে কথোপকথনের পর মিশরও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে। এতে মিশর জানিয়েছে, দুই নেতা গাজা উপত্যকায় ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর চলমান অভিযান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। উভয় নেতাই গাজার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। সংঘর্ষ সাধারণ মানুষের জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে এবং সমগ্র অঞ্চলের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। দুই নেতার মধ্যে গাজা উপত্যকায় চলমান ইজরাইলি অভিযান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।