নিউইয়র্কে বিল এবং মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে গোলকিপার্স 'গ্লোবাল গোলস অ্যাওয়ার্ডস'-এ ভূষিত হচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে, এমনটাই খবর সরকারি সূত্রে। জানা যাচ্ছে, আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে মোদীর হাতে। যেকোনো উন্নয়নমূলক কাজকে গতিশীল এবং আরও সুদূরপ্রসারী করে তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ উৎসাহ দিতেই এই পুরস্কার দিয়ে থাকে বিল গেটসের সংস্থা। ভারতে স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক ‘স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচির' সূচনার মাধ্যমে যে অভিযান মোদী সরকার চালু করেছে, সেই প্রকল্পকে স্বীকৃতি দিতেই এবার 'দ্য গ্লোবাল গোলকিপার' পুরস্কারের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে নরেন্দ্র মোদীকে।
আরও পড়ুন- দেশীয় সংস্থাগুলোর জন্য কর্পোরেট কর কমানোর সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
বিল এবং মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "দেশের কয়েক কোটি মানুষের (প্রধানত মহিলা এবং শিশুদের) স্বাস্থ্য উন্নয়নের ক্ষেত্রে শৌচ ব্যবস্থা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সারা বিশ্বব্যাপী অপরিচ্ছন্ন শৌচ ব্যবস্থার কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি পাঁচ বছরে প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ মারা যান। কিন্তু এই দিকটিকে বহু দেশেই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় না। ভারতে এই 'স্বচ্ছ ভারত মিশনের' আগে প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষ সুস্থ শৌচব্যবস্থা পায়নি। এখনও যেসব দরিদ্র দেশে শৌচব্যবস্থা উন্নত নয় তাদের জন্য 'স্বচ্ছ ভারত মিশন' অবশ্যই একটা আদর্শ মডেল হতে পারে।"
আরও পড়ুন- বাংলায় এনআরসি দরকার নেই, আসাম নিয়েও আপত্তি আছে, শাহকে জানালেন মমতা
প্রসঙ্গত, ভারতের কীভাবে ডিজিট্যাল প্রযুক্তিকে উন্নত করা হয়েছে তা নিয়েও ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে এই বছরের গোলকিপার্স পুরস্কারের বার্ষিক রিপোর্টে। রিপোর্টটিতে বলা হয়েছে, "জ্যাম (JAM) ট্রিনিটির ক্ষেত্রে পথিকৃৎ ভারত। যেখানে জে মানে জন ধন যোজনা ( যে যোজনার মাধ্যমে সরকার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য দরিদ্র পরিবারকে সাহায্য করে), এ-এর অর্থ হল আধার (যেখানে ভারতীয় নাগরিকদের ফিঙ্গারপ্রিন্টস দিয়ে ইউনিক বায়োমেট্রিক অথেনটিকেশনের মাধ্যমে আইডি তৈরি করা হয়েছে), আর এম-এর অর্থ হল মোবাইল, যা এই মুহুর্তে ভারতে সব শ্রেণির মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এই জ্যাম ট্রিনিটির মাধ্যমে সরকার দেশের সর্বসাধারণের অ্যাকাউন্টে ইউনিক আইডি-এর মাধ্যমে টাকা পৌঁছে দিচ্ছে। এর সাহায্যেই সরকার আরও নতুন নতুন নীতিও গ্রহণ করছে।" রিপোর্টটিতে এও বলা হয়েছে যে, ২০১২ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ভারত সরকার ‘জ্যাম ট্রিনিটি’ ব্যবহার করেই গ্যাসের দামের ভর্তুকিকে সরাসরি দেশের মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করতে সক্ষম হয়েছে যা তৃতীয় বিশ্বের দেশে অন্যতম নিদর্শন।
Read the full story in English