কিরঘিজস্তানের রাজধানী বিসকেক যাওয়ার জন্য পাকিস্তানের আকাশপথ ব্যবহার করবেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বুধবার বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, আগামী ১৩-১৪ জুন সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) শীর্ষ বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য ওমান এবং ইরানের বিমানপথ ব্যবহার করবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, বিসকেকে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাপথ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রকের মুখপাত্র রভিশ কুমার বলেন, "বিসকেকগামী ভিভিআইপি বিমানের গতিপথ নির্ধারণের জন্য ভারত সরকারের কাছে দুটি বিকল্প ছিল। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যে ভিভিআইপি বিমানটি বিসকেক যাবে, সেটিকে ওমান, ইরান এবং মধ্য এশিয়ার দেশগুলির উপর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।" বিসকেকের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী অন্য রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের বাড়বাড়ন্ত-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলবেন বলে আশা করছে রাজনৈতিক মহল।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় বায়ুসেনা বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটিতে আঘাত করার পর পাকিস্তান তাদের আকাশপথ বন্ধ করে দেয়। পরে সেই সিদ্ধান্ত কিছুটা শিথিল করা হয়। এখন ১১টি আকাশপথের মধ্যে মাত্র দুটি খোলা রয়েছে। ওই দুটি বিমানপথ পাকিস্তানের দক্ষিণ অংশের উপর দিয়ে যায়। তবে গত ২১ মে এসসিও শীর্ষ বৈঠকে যোগ দিতে বিসকেকে যাওয়ার সময় তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে নিজেদের আকাশপথ ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছিল পাকিস্তান।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, পাকিস্তান নীতিগত ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যদি ভারত প্রধানমন্ত্রীর সফরের জন্য পাক আকাশপথ ব্যবহারের অনুমতি চায়, তাহলে ফেরানো হবে না। ওই খবর অনুযায়ী, বিসকেকে পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মোদীর একান্ত বৈঠকের সম্ভাবনা না থাকলেও পাকিস্তান আশা করেছিল তাদের শান্তি প্রস্তাবে ভারত ইতিবাচক সাড়া দেবে।