আজ ভোরেই প্রয়াত হয়েছেন শতায়ু হীরাবেন দেবী। মায়ের প্রয়াণের খবর পেয়েই তড়িঘড়ি সব কাজ ফেলে গুজরাটের গান্ধীনগরে ছুটে যান প্রধানমন্ত্রী। হাসপাতাল থেকে মরদেহ বাড়িতে আনা ইস্তক ঠাঁয় গাড়িতে মায়ের পাশেই এদিন বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল নমোকে। পরে গাড়ি থেকে নামিয়ে মায়ের মরদেহ কাঁধে তুলে শ্মশানের পথে রওনা দেন মোদী।
Advertisment
১৯২৩ সালের ১৮ জুন জন্মগ্রহণ করেন হীরাবেন দেবী। তাঁর পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ে। দিন কয়েক ধরেই হীরাবেনের শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বুধবার বিকেলে দিল্লি থেকে আহমেদাবাদে পৌঁছেছিলেন। মায়ের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালেও গিয়েছিলেন। তিনি এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সেদিন হাসপাতালে ছিলেন। মায়ের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে হাসপাতালের ডাক্তারদের সাথে কথাও বলেছিলেন।
নিজে পড়াশোনা না জানলেও নিজের ছেলে মেয়েদের অনেক কষ্ট করে বড় করে তুলেছিলেন হীরাবেন। গুজরাতের গান্ধীনগরের কাছে রায়সান গ্রামে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ছোট ভাই পঙ্কজ মোদীর সঙ্গে থাকতেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নিয়মিত রায়সান গ্রামে এসে দেখা করতেন মায়ের সঙ্গে। গুজরাট সফরে এলে সময় বের করে মায়ে সঙ্গে দেখা করতে যেতেন মোদী।
তবে এবার সেসবের পালা শেষ। শতায়ু হীরাবেন আর নেই। আজ ভোররাতেই তিনি প্রয়াত হয়েছেন। এদিন হাসপাতাল থেকে হীরাবেনের মরদেহ প্রথমে মোদীর ভাইয়ের বাড়িতে আনা হয়। সেখানেই পৌঁছে যান নমো। পরে সেই বাড়ি থেকে মরদেহ কাঁধে তুলে শশ্মানের পথে রওয়ান দেন প্রধানমন্ত্রী। গান্ধীনগরের শশ্মানে প্রধানমন্ত্রীর মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।