রাফালে চুক্তি সম্পর্কিত তথ্যে প্রধানমন্ত্রীর দফতর যদি নজর রাখে, তাকে হস্তক্ষেপ বলা চলে না, শীর্ষ আদালতকে জানাল কেন্দ্র। এএনআই সূত্রে তেমনটাই খবর পাওয়া গিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টকে জমা দেওয়া হলফনামায় সরকার জানিয়েছে, "এই সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দফতরের নজরদারিকে হস্তক্ষেপ অথবা সেরকম কিছু বলা চলে না"।
২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর শীর্ষ আদালত রায় দিয়েছিল, রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তিতে কোনোরকম দুর্নীতি ছিল না। সেই রায়ের ভিত্তিতে বর্তমান প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ শনিবারের মধ্যে কেন্দ্রের মত জানতে চেয়েছিল। তার ভিত্তিতে হলফনামা জমা দিয়েছে কেন্দ্র সরকার।
আরও পড়ুন, ৩৬ বছর পর নৌবাহিনী থেকে অবসর নিতে চলেছে ফ্রন্টলাইন মিসাইল ধ্বংসকারী রণজিৎ
গত বছর ১৪ ডিসেম্বর মুখ্য বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বে গঠিত তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের চুক্তি প্রক্রিয়ায় আদালত সন্তুষ্ট। এই চুক্তিতে কোনো রকম হস্তক্ষেপ করতে চায়না বলে জানিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত।
মামলাকারীদের দাবি ছিল, ইউপিএ সরকারের জমানার চেয়ে অনেক বেশি দামে ফরাসী যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা ডসাল্ট-এর কাছ থেকে বিমান কেনার চুক্তি করেছে বর্তমানে ক্ষমতায় থাকা এনডিএ সরকার। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।
ফ্রান্সের থেকে ৩৬টি যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তির নথি সরকারি হেফাজত থেকে চুরি করা হয়েছে বলে দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে ভেনুগোপাল সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন। 'চোরাই' নথি ছাপার জন্য ইংরেজি দৈনিক দ্য হিন্দু'র বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট ভঙ্গের অভিযোগে ওই সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল। ১০ এপ্রিল কেন্দ্রের আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
Read the full story in English