নীরবকে হাতে পেতে মরিয়া কেন্দ্রীয় সরকার। হীরে ব্যবসায়ীকে দেশে ফেরাতে আরও একধাপ এগোলেন তদন্তকারীরা। ইংল্যান্ড ও হংকং থেকে নীরব মোদিকে প্রত্যর্পণের জন্য এবার আদালতে গেল ইডি। গতকালই এ নিয়ে মুম্বইয়ের একটি বিশেষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ইডি। যদিও এখনও ওই হীরে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস জারি করেনি ইন্টারপোল। বর্তমানে নীরব মোদি বেলজিয়ামে রয়েছেন বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। গত ১২ জুন ইংল্যান্ড থেকে নীরব বেলজিয়ামে যান বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। কয়েকদিন আগেই ফিনান্সিয়াল টাইমসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয় নীরব মোদি ইংল্যান্ডে রাজনৈতিক আশ্রয় খুঁজছেন। চলতি বছরের শুরুতে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে কয়েক হাজার কোটি টাকার জালিয়াতির পরই দেশ ছেড়ে পালান নীরব। শুধু নীরবই নন, তাঁর মামা মেহুল চোকসির বিরুদ্ধেও রয়েছে একই অভিযোগ।
গতকাল মুম্বইয়ের ওই বিশেষ আদালতে নীরবের প্রত্যর্পণের ব্যাপারে আবেদন পত্রে ইংল্যান্ডের পাশাপাশি হং কংয়ের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। তবে আরও কয়েকটি দেশের নাম তালিকায় জোড়া হবে বলে জানিয়েছেন এক ইডি আধিকারিক। ইতিমধ্যেই নীরবের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। মোদির বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস জারির জন্য ইন্টারপোলের কাছে আর্জি জানিয়েছে ইডি। যদিও এখনও ইডি-র এই আর্জিতে সাড়া দেয়নি ইন্টারপোল।
আরও পড়ুন, PNB Scam: ইংল্যান্ডে রাজনৈতিক আশ্রয় খুঁজছেন নীরব মোদি?
এর আগেও মোদিকে প্রত্যর্পণ করা নিয়ে আলোচনায় বসেছিল সিবিআই, ইডি, বিদেশমন্ত্রক। মোদির বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস জারি হলেই প্রত্যর্পণের আর্জি করা যাবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইডি, সিবিআই ও বিদেশমন্ত্রক। যেহেতু এখনও মোদির বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস জারি হয়নি, তাই একাধিক দেশে প্রত্যর্পণের আর্জি বিবেচনা করে দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, এর আগে রেড কর্নার নোটিস ইস্যু ছাড়াই লিকার ব্যারন বিজয় মালিয়ার প্রত্যর্পণের আর্জি জানানো হয়েছিল ইংল্যান্ডে। লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার কোর্টে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে মালিয়ার প্রত্যর্পণ মামলা।