POCSO-তে সম্মতিমূলক যৌন সম্পর্কের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়া উচিত নয়, কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট পেশ করেছে আইন কমিশন। আইন কমিশন আইন মন্ত্রককে বলেছে যে POCSO আইনে পরিবর্তন করে সম্মতিমূলক যৌন সম্পর্কের বয়স ১৮ বছর থেকে কমিয়ে ১৬ বছরে কমিয়ে আনার কোন প্রয়োজন নেই। আদালত যদি মনে করে যে ১৮ বছরের কম বয়সী কোনও কিশোরী সম্মতিক্রমে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছে তবে তার বয়ানের ভিত্তিতে আদালত তার রায় দান করতে পারে। সেক্ষেত্রে কম শাস্তির আদেশ দিতে পারে আদালত। উল্লেখ্য পকসো আইনে কোনও নাবালকের সঙ্গে যৌন সংসর্গে লিপ্ত হলে তার কমপক্ষে ১০ বছর পর্যন্ত সাজার বিধান রয়েছে।
ভারতের আইন কমিশন সম্মতিমূলক যৌনতার বয়স ১৮ বছর থেকে কমিয়ে আনার পক্ষে নয়, তবে ভারসাম্য বজায় রাখতে কমিশন আইন সংশোধন করতে বলেছে এবং সম্মতিমূলক যৌনতার ক্ষেত্রে শাস্তি সহ কিছু সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করেছে। শিথিলকরণসহ অন্যান্য দিকগুলো আদালতের বিবেচনার ওপর ছেড়ে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। আইন কমিশন শিশুদের যৌন হেনস্থা থেকে রক্ষা করার জন্য ২০১২ সালে আনা একটি আইন POCSO আইনের বিষয়ে আইন মন্ত্রকে তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে। শুক্রবার সেই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে কেন্দ্র, যাতে কমিশন সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সংসর্গ স্থাপনের বয়স ১৮ বছর থেকে কমিয়ে ১৬-তে আনার বিষয়ে কোনও সুপারিশ করেনি।
এছাড়াও, ১৬ বছর বা তার বেশি বয়সের নাবালকের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে, অনেক দিক থেকে তা আদালতের বিবেচনার উপর ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। ২৭ সেপ্টেম্বর আইন কমিশনের বৈঠক হয়। বৈঠকে এক দেশ, এক নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। POCSO আইনের ক্ষেত্রে আইন কমিশন যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে আইনের মৌলিক কঠোরতা বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে। সহজ কথায়, সম্মতির বয়সে কোন পরিবর্তন না করে কিছু দিক আইনে অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়েছে। কমিশন POCSO আইনের ধারা ৪ এবং ৮ ধারা সংশোধন করে কমিশনের প্রস্তাবিত বিভিন্ন দিক অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সরকারকে সুপারিশ করেছে। প্রকৃতপক্ষে, কমিশন সম্মতিপূর্ণ সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের স্বার্থ রক্ষা করতে এই দিকগুলিকে আইনে অন্তর্ভুক্ত করতে চায়৷ এখন দেখার বিষয় কেন্দ্রীয় সরকার কমিশনের এই সুপারিশগুলির আইনে অন্তর্ভুক্ত করে কি না৷
এছাড়াও, কমিশন বলেছে বয়স কমানোর পরিবর্তে এর অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে। কমিশনের মতে, মূল উদ্দেশ্য হল আইন শিথিল না করে অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার রোধ করা। এ জন্য প্রতিটি মামলার ভিত্তিতে আদালতের বিবেচনায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।কমিশন বলেছে যে আদালত যদি সন্তুষ্ট হয় যে অভিযুক্ত এবং অভিযোগীকারীর মধ্যে একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল, তবে আদালত তার বিবেচনার ভিত্তিতে, POCSO আইনে নির্ধারিত ন্যূনতম শাস্তির চেয়ে কম শাস্তির আদেশ দিতে পারে, সমস্ত কিছু বিবেচনায় করে। তথ্য তবে আদালতকে তার লিখিত আদেশে এর কারণ লিপিবদ্ধ করতে হবে। কমিশন বলেছে, সম্মতির বয়স কমিয়ে দিলে বাল্যবিবাহ ও শিশু পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরাসরি ও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।অপরাধমূলক অভিপ্রায় নেই এমন কিছু ক্ষেত্রে আদালতকে সতর্কতা অবলম্বনের সুপারিশ করেছে আইন কমিশন।