দিল্লির শাহিনবাগ হোক কিংবা মুম্বাই গেট, যে ইস্যুতে উত্তাল হয়েছে গোটা দেশ, তা হল নয়া নাগরিকত্ব ইস্যু। এবার সেই ইস্যুতেই জয়পুরের কবি বাপ্পাদিত্য সরকারকে (২৩) থানায় নিয়ে গেলেন এক উবের চালক। বাপ্পাদিত্য বলেন, বুধবার রাতে তাঁকে প্রায় দু'ঘন্টার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। যদিও উবের চালক বলেন তিনি সমস্ত কথোপকথন তাঁর ফোনে রেখেছেন। যদিও অভিযোগের প্রত্যক্ষ প্রমাণ না থাকায় চালক এবং কবি দু'জনকেই পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। গোটা ঘটনাটি এই মুহুর্তে পর্যালোচনা করছে পুলিশ, এমনটাই খবর।
ঠিক কী ঘটেছে?
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বাপ্পাদিত্য বলেন, মুম্বাইয়ের কালা ঘোড়া ফেস্টিভ্যালে এসেছিলেন তিনি। জুহু থেকে কুরলা যাওয়ার জন্য একটি উবের ক্যাব নেন রাত ১১ টা নাগাদ। এরপর গাড়িতে বসেই এক বন্ধুকে ফোন করেন তিনি। ঘটনায় বিহ্বল বাপ্পাদিত্য বলে চলেন, "আমি আমার বন্ধুর সঙ্গে শাহিনবাগ, সেখানকার অবস্থা নিয়ে কথা বলছিলাম। মানুষ এখন লাল সেলাম দিতে চিন্তা করে তা নিয়েও কথা বলছিলাম। জয়পুরের প্রতিবাদকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তা নিয়েও কথা বলছিলাম।" তিনি তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের স্ক্রিনশট শেয়ার করেন সোশাল মিডিয়াতে। বাপ্পাদিত্য জানান যে কুড়ি মিনিট গাড়িতে বসে থাকার পর তাঁকে গাড়ির চালক রোহিত সিং সান্টাক্রুজ থানায় নিয়ে আসেন। এরপর আচমকাই দু'জন কনস্টেবলকে নিয়ে আসেন চালক। কবির কথায়, "আমি তখন বুঝতে পারি যে আমাকে পুলিশ স্টেশনে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।"
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে শাহিনবাগ শুনানি সোমবার
যদিও চালক রোহিতের বক্তব্য বাপ্পাদিত্য ফোনে বলছিলেন যে উনি কমিউনিস্ট। উনি দেশকে শাহিনবাগ তৈরি করতে চান। এমনকি উবের চালক পুলিশকে এও বলেন যে তাঁর কাছে সব রেকর্ডও আছে। পুলিশের হাতে বাপ্পাদিত্যকে তুলে দিয়ে রোহিত এও বলেন, "তুমি দেশ বরবাদ করবে আর আমি বসে বসে দেখব? আমি তোমায় অন্য কোথাও নিয়ে যেতে পারতাম। ভাগ্যকে ধন্যবাদ দাও যে আমি তোমায় সেখানে না নিয়ে গিয়ে পুলিশ স্টেশনে নিয়ে এসেছি।" উল্লেখ্য, বাপ্পাদিত্য পুনের ফার্গুসেন কলেজ থেকে মাস কমিউনিকেশন নিয়ে পাস করেছেন। বর্তমানে কবিতা লেখা ছাড়াও তিনি মাল্টিমিডিয়া ফ্রিল্যান্সিংও করেন।
Read the full story in English