মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও তাঁর স্ত্রী অমৃতাকে ব্ল্যাকমেল করতে বেশ কিছু জাল ভিডিও ও অডিও ক্লিপ তৈরি করেন ডিজাইনার অনিক্ষা জয়সিংহনি। আর সেগুলি অমৃতাকে পাঠিয়ে ১০ কোটি টাকা আদায়ের টার্গেট নেন ওই মহিলা। তদন্তে নেমে পুলিশ এমনই জানতে পেরেছে।
মহারাষ্ট্র পুলিশ শুক্রবার উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের স্ত্রী অমৃতাকে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ডিজাইনার অনিক্ষা জয়সিংহনিকে আদালতে হাজির করে। পুলিশ আদালতের কাছে পুলিশি হেফাজতের আবেদন করে। পুলিশ আদালতকে বলেছে মহিলার চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে ফাঁসানো। অতিরিক্ত দায়রা জজ ডি ডি আলমালে-এর সামনে হাজির করা হয় অনিক্ষাকে। আদালত তাকে ২১ মার্চ পর্যন্ত মহিলাকে পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে। এদিনে পুলিশ ধৃত মহিলার বাবা অনিল জয়সিংহনির খোঁজে সন্ধান চালাচ্ছে। তিনি এই মুহূর্তে পলাতক রয়েছে বলেই দাবি পুলিশের।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত মহিলা ও তার বাবা অমৃতার কাছ থেকে ১০ কোটি টাকা আদায়ের চেষ্টা করে। পুলিশও অমৃতার অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ৩৮৫ নং ধারায় অনিক্ষার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলাও দায়ের করেছে। বৃহস্পতিবারই গ্রেফতার করা হয় ডিজাইনারকে। পুলিশ সূত্রে খবর ধৃত ডিজাইনারের বাবার খোঁজে চলছে তল্লাশি।
পুলিশের জানিয়েছে অনিক্ষা জেরায় দাবি করেছিলেন যে তিনি জামাকাপড়, গয়না এবং জুতোর নকশা তৈরি করেন। ডিজাইন করা পন্যগুলিকে পাবলিক ইভেন্টগুলিতে যাতে স্থান পায় তার জন্য তিনি অমৃতার কাছে অনুরোধ করেছিলেন, তার পন্যের প্রচারের উদ্দেশ্যে। গতকাল উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বিধানসভায় এই পুরো ঘটনায় বেশ কিছু নেতার জড়িত থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এর পাশাপাশি প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের ভূমিকা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি