বয়স মানে না করোনা। মাত্র ৪৬ বছর বয়সি এক ব্যক্তির মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ পরিবারের ৫০ জন আত্মীয় পরিজন তাই গিয়েছিলেন শেষকৃত্যে। কিন্তু দেশে এখনও জারি লকডাউনের পঞ্চম দফা। তাই শ্মশান থেকে ওই ৫০ জনকে আটক করে পুলিশ। আত্মীয় পরিজন ছাড়াও মৃত ব্যক্তির অফিসের বন্ধুরাও ছিলেন সেখানে।
পাঁচমহল বনবিভাগের ক্লার্ক ছিলেন ওই ব্যক্তি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৯ মে মৃত্যু হয় তাঁর। পরদিনই নিজের গ্রাম মহিসাগরে শেষকৃত্য পালন করা হয় ওই ব্যক্তির। জানা যায় প্রথমে গোধরা সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। সেখান থেকে ভাদোদরার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। ৩০ তারিখ রিপোর্ট পাওয়া যায় ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত।
যাদের আটক করা হয়েছে তাঁদের বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে আর গোটা গ্রামটিকে কনটেনমেন্ট হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। ৫০ জনকে লকডাউন নিয়ম ভাঙার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। যদিও প্রত্যেকের নমুনা এখনও সংগ্রহ করা হয়নি।
পুলিশ বলে, "এদের সকলের কোয়ারেন্টাইন সময় শেষ হওয়ার পর নমুনা সংগ্রহ করা হবে। যদি কারুর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।" উল্লেখ্য এই জেলায় প্রায় ২০০ মানুষ ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন। তাঁদের চিহ্নিত করে ইতিমধ্যেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ।
Read the story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন