বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের আরও কোণঠাসা করল জম্মু-কাশ্মীর। বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিককে আটক করল পুলিশ। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই জম্মু কাশ্মীরে আরও ১০০ কোম্পানি আধা সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার মধ্যরাতে নিজের বাড়ি থেকে ইয়াসিনকে আটক করেছে পুলিশ। কোঠিবাগ থানায় ওই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। উল্লেখ্য, সোমবার ৩৫ এ ধারা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। তার আগে বিচ্ছিনতাবাদী নেতাকে আটক করার ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
এই ঘটনা ঘিরে কাশ্মীর উপত্যকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে ভারতীয় সংবিধানের জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সুনিশ্চিত করা ৩৫ এ ধারা নিয়ে শুনানির আগে সে রাজ্যে আরও কয়েকজন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার বিরুদ্ধে ধরপাকড় করা হতে পারে। এদিকে, জামাত-এ-ইসলামী গোষ্ঠীর ইয়াসিন মালিককে আটক করার পরই জম্মু-কাশ্মীরে আরও ১০০ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
এই ঘটনার প্রতিবাদ করে টুইট করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। এই ভাবে যথেচ্ছাচার চালানোর পেছনে আইনি সমর্থন কোথা থেকে আসছে, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
জামাত-এ-ইসলামির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, "২২-২৩ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীর উপত্যকার বহু বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। আটক করা হয়েছে বহু নেতাকে। রাজ্যে অনিশ্চয়তার পরিবেশ আরও বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য অত্যন্ত সুপরিকল্পিত এক ষড়যন্ত্র এটি"।
আরও পড়ুন, পুলওয়ামা সন্ত্রাস: নিরাপত্তা প্রত্যাহার ১৮ হুরিয়ত নেতার
![]()
অন্যদিকে, পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে জম্মু-কাশ্মীর সরকার। ১৮ জন হুরিয়ত নেতার নিরাপত্তা প্রত্যাহার করেছে সে রাজ্য। পাশাপাশি ১৫৫ জন রাজনৈতিক কর্মীর নিরাপত্তাও তুলে নেওয়া হয়েছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় হুরিয়ত নেতাদের নিরাপত্তা প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করে সরকার।
হুরিয়ত নেতাদের নিরাপত্তা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে সে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিরাপত্তা প্রদান অপচয় ছাড়া কিছু নয়। সরকার মনে করেছে, ওঁদের নিরাপত্তার জন্য যে বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল, তা অন্যত্র ব্যবহার করলে কাজে লাগবে। স্বরাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে ১,০০০ জনেরও বেশি পুলিশকর্মী ও ১০০টিরও বেশি গাড়িকে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব থেকে মুক্ত করা গেল। ওই বাহিনীকে এবার থেকে পুলিশের অন্য কাজে লাগানো হবে।
Read the full story in English