দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলার ইয়ারিপোরায় সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে রবিবার মৃত্যু হলো পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেন্ডন্ট অমন ঠাকুর এবং এক সেনা কর্মী সমেত তিনজন জৈশ-এ-মহম্মদ জঙ্গির। ওই তিনজনের মধ্যে দুজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, এবং শনাক্ত করা হয়েছে রাকিব আহমেদ শেখ ও গুলজার আহমেদ ভাট বলে। দুজনেই কুলগামের বাসিন্দা। অমনের পরিবারে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী, মা-বাবা, এবং রয়েছে ছ'বছরের শিশুপুত্র।
জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কে আগাম খবর পেয়ে তুরিগাম এলাকায় তল্লাশি চালাতে গিয়ে গুলির সম্মুখীন হয় পুলিশ। ডিএসপি অমন ঠাকুরের গলায় গুলি লাগে। জানা গিয়েছে, প্লেনে করে সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
সেনাবাহিনীর এক মেজর সহ ঘটনায় আহত হন তিনজন সেনা কর্মী। এঁদের মধ্যে হাবিলদার সোমবীরের পরে মৃত্যু হয়। বাকি আহতরা বিপদমুক্ত বলে জানা গিয়েছে।
এর আগে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে ডিজিপি দিলবাগ সিং জানিয়েছিলেন, "আমরা একটি দেহ উদ্ধার করেছি। আমাদের পাওয়া খবর অনুযায়ী, আরও দুজন জঙ্গি মারা গেছে। জৈশের একদল জঙ্গি লুকিয়ে ছিল একটি এলাকায়, যার ফলে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান শুরু করে।"
পরে একটি বিবৃতিতে পুলিশ জানায়, "তুরিগাম ইয়ারিপোরায় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে চলতে থাকা গুলির লড়াইয়ে আজ কুলগামে আমরা হারিয়েছি আমাদের তরুণ সতীর্থ, পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেন্ডন্ট অমন কুমার ঠাকুরকে। আমরা ডিএসপি অমন কুমার ঠাকুরকে কুলগামে তাঁর চূড়ান্ত আত্মত্যাগের জন্য আমাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। এই সঙ্কটের সময়ে তাঁর পরিবারের জন্য আমাদের প্রার্থনা রইল।"
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ডোডা জেলার বাসিন্দা অমন কুমার ২০১১ ব্যাচের কাশ্মীর পুলিশ সার্ভিসের অফিসার ছিলেন। রবিবারের অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। কুুলগামে রাজ্য পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখার নেতৃত্বেও তিনিই ছিলেন গত দেড় বছর ধরে, এবং এলাকায় বেশ কিছু জঙ্গির মৃত্যুতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন।
রবিবার রাতে শ্রীনগরের জেলা পুলিশ লাইনসে অমন কুমারের স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি মাল্যদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।