কানপুরের হিংসায় প্রথম থেকেই পুলিশের কড়া মনোভাব! শুক্রবার কানপুরের হিংসার ঘটনায় ইতিমধ্যে ডিসিপি সঞ্জীব ত্যাগীর নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও তিনটি সিট গঠন করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর শহরে শুক্রবারের সংঘর্ষের ঘটনায় আরও সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এই নিয়ে দাঙ্গার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ২৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার কানপুরের হিংসার ঘটনায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে যোগী প্রশাসন। শুক্রবারের দাঙ্গায় আহতের সংখ্যা প্রায় হাজার ছুঁইছুঁই। প্রসঙ্গত, হজরত মহম্মদকে নিয়ে এক বিজেপি নেতার মন্তব্য প্রসঙ্গে কানপুরে প্রতিবাদ চলছিল। তা ঘিরেই যাবতীয় হিংসার সূত্রপাত হয়।
কানপুরের পুলিশ কমিশনার বিজয় সিং মীনা বলেন, হিংসার ঘটনায় জড়িতদের সঙ্গে PFI (পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া) সঙ্গে কোনো সম্পর্ক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, " হিংসার ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ২৯ জনকে দাঙ্গার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ধৃতদের পুলিশি হেফাজতের অনুরোধ জানিয়ে আদালতে আদেবন করা হবে। ধৃতদের মধ্যে চার জন এমএমএ জওহর ফ্যান অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি স্থানীয় সংগঠনের সদস্য। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, ধৃতদের বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষা আইন (এনএসএ), উত্তরপ্রদেশ গ্যাঙস্টার্স অ্যাড অ্যান্টি সোশ্যাল অ্যাক্টিভিটিস প্রিভেনশন আইনে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। অভিযুক্তদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: KK-র মৃত্যু বিতর্ক: মুখ খুলেই চাঁচাছোলা আক্রমণ সাংসদ দেবের
দাঙ্গায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে AIMIM এর জাতীয় সভাপতি হায়াত জাফর হাশমি, ইউপি চেয়ারম্যান জাভেদ মহম্মদ খান সহ সংগঠনের আরও ২ সদস্যকে। যদিও এব্যাপারে AIMIM-এর রাজ্য ইউনিটের প্রধান শওকত আলি বলেন, "জাভেদ মহম্মদ খানকে প্রায় পাঁচ বছর আগে দল থেকে বরখাস্ত করা হয়। এখন দলের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই" । পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে চারজনের কাছ থেকে যে সব নথি উদ্ধার করা হয়েছে সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে"। শুক্রবার রাতে দাঙ্গার ঘটনায় তিনটি আলাদা এফআইআর করা হয়।