Advertisment

জেএনইউ হামলায় মহিলা মুখোশধারীর নাম প্রকাশ পুলিশের, এবিভিপির দাবি, 'আমাদের সদস্য'

ওই ভিডিওতেই কোমলের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল আরও দুই মুখোশধারীকে। তাদেরও পরিচয় প্রকাশ করেছে পুলিশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

নীল ওড়নায় অর্ধেক মুখ ঢাকা কোমল শর্মা।

জেএনইউতে ৫ জানুয়ারি রাতে পড়ুয়াদের ওপর হামলা চলে। সেই হামলার ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছিল মারমুখি মেজাজে সবরমতী হস্টেলে পড়ুয়াদের ক্রমাগত হুমকি দিয়ে চলেছেন নীল ওড়নায় অর্ধেক মুখ ঢাকা এক মহিলা। অবশেষে তার নাম প্রকাশ করল দিল্লি পুলিশ। অভিযুক্ত কোমল শর্মা দৌলত রাম কলেজের ছাত্রী ও অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সদস্যা। কোমল তাদের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বলে স্বীকার করেছেন এবিভিপির দিল্লির সম্পাদক সিদ্ধার্থ যাদব।

Advertisment

ওই ভিডিওতেই কোমলের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল দুই মুখোশধারীকে। তাদেরও পরিচয় প্রকাশ করেছে পুলিশ। জানানো হয়েছে ওই দুই যুবক হল অক্ষত অবস্থী ও রোহিত শাহ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিস দিয়েছে পুলিশ। কোমল শর্মা, অক্ষত অবস্থী ও রোহিত শাহের ফোন বন্ধ। তাদেরও খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: অবশেষে চিহ্নিত জেএনইউতে মুখোশধারী মহিলা হামলাকারী

এবিভিপির দিল্লির সম্পাদক সিদ্ধার্থ যাদব বলেছেন, 'শোসাল মিডিয়ায় ভিডিও ভাইরাল হতেই কোমলের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি। শেষ পাওয়া খবরে জানতে পেরেছিলাম ও পরিবারের সঙ্গে রয়েছে। পুলিশের সমন আদৌ কোমলের কাছে পৌঁছেছে কিনা যোগাযোগ না করায় তা জানতে পারিনি।' জেএনিউকাণ্ডে আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন এবিভিপির এই নেতা। তাঁর কথায়, 'অবিলম্বে কোমলদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। ও কিছু করে থাকলে তার বিচার হওয়া দরকার।' এবিভিপির নিজস্ব তদন্তে উঠে এসেছে, ৫ জানুয়ারি জেএনইউতে তাদের সংগঠনের সদস্যরা নীপিড়নের শিকার।

সেদিনের হামলার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশের সিট জেএনইউয়ের দুই পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। পুলিশের মুখপাত্র অনিল মিত্তাল বলেন, 'এআইএসএ কাউন্সিলর সুচেতা তালুকদার ও প্রিয়া রঞ্জনকে ৫ তারিখের হামলা প্রসঙ্গে প্রায় ঘন্টা দু'য়েক জিজ্ঞাবাদ চলে। প্রিয়ার রাজনৈতিক পরিচয় জানা যায়নি।' পরে সুচেতা তালুকদার বলেন, 'দেড় পাতার বক্তব্য জমা করেছি পুলিশের কাছে। সেদিনের ঘটনার বিবরণ, হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে পারব কিনা এসব নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল।' পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন সুচেতা। ভাষা-সাহিত্য বিভাগের পড়ুয়া প্রিয়া রঞ্জনও এক বিবৃতি পুলিশের কাছে জমা দিয়েছেন।

গত ৫ জানুয়ারি জেএনইউ ক্যাম্পাসে মধ্যে মুখোশধারীদের হাতে আক্রান্ত হন আন্দোলকারী পড়ুয়া ও অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা। সবরমতী ও পেরিয়ার হস্টেলে ঢুকে তাণ্ডব চালায় একদল মুখোশধারীরা। জখম হন জেএনইউএসইউয়ের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ সহ মোট ৩৪ জন পড়ুয়া। ভাঙচুর চলে হস্টেলগুলোতে। তারপরই ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, লাঠি হাতে ওড়নায় অর্ধেক মুখ ঢাকা এক মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের শাসাচ্ছে। কখনও লাঠি উঁচিয়ে হুমকিও দিচ্ছে।

Read the full story in English

JNU
Advertisment