বরখাস্ত স্কুল শিক্ষকদের ধর্নায় পুলিশের লাঠি। কাঁদানে গ্যাস এবং জল কামান ব্যবহারের অভিযোগ আগরতলায় (Agartala)। এই ঘটনায় (Teacher Agitation) প্রায় ৪০ জন শিক্ষক জখম হয়েছে বলে খবর। গত ৫২ দিন ধরে আগরতলা সিটি সেন্টারের সামনে এই শিক্ষকরা চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন। সেই বিক্ষোভ হঠাতে এদিন নির্মমভাবে লাঠি চালিয়েছে পুলিশ (Tripura Police) বলে খবর। যদিও পুলিশের ওপর পাল্টা হামলা চালানোর অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই ঘটনায় ৭ জন পুলিশ জখম এবং তিনটি গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা প্রশাসন মঙ্গল সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৫.৩০টা পর্যন্ত কার্ফু জারি করেছিল। আগরতলা পুর এলাকায় এই কার্ফু জারি ছিল।
অভিযোগ, মঙ্গল সকালে অবস্থানে থাকা শিক্ষকরা ঘুমাচ্ছিলেন, তখন পুলিশি নির্যাতন নেমে আসে। সেই মুহূর্তে জায়গা খালি করে দিতে নির্দেশ দেন পুলিশকর্তারা। তাঁরা রায়ট গিয়ারে ছিল বলেও অভিযোগ। এই সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় ৩০০ জন শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে, রাজ্যের আইজি (আইনশৃঙ্খলা) অরিন্দম নাথ বলেন, 'কিছু শিক্ষক হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন অগতান্ত্রিক আন্দোলন সংগঠিত করার। ফেসবুকে তাঁরা পোস্ট করেছিল। সেই আন্দোলন সংগঠিত হলে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতো। তাই জরুরি ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত।' কয়েকজন শিক্ষিকা-সহ একাধিক আন্দোলনকারী আহত, স্বীকার করে নিয়েছেন ওই আইপিএস। পাল্টা পশ্চিম ত্রিপুরার এএসপি শ্বাশত কুমার আর সদর উপমহকুমা অফিসার চিরঞ্জিত চক্রবর্তী আক্রান্ত হয়েছেন। এমনটাই সূত্রের খবর।
প্রায় সাড়ে ১১ হাজআর শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে ২০১৪ সালে। ২০১২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ত্রুটি তুলে ধরে সে বছর এঁদের নিয়োগ খারিজ করে আদালত। তারপর থেকেই স্থায়ী চাকরির দাবিতে সরব তাঁরা।