/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/01/police-1-1.jpg)
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে উত্তরপ্রদেশ।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে উত্তরপ্রদেশ। যোগীর রাজ্যেই নিহত হয়েছেন ১৯ সিএএ বিক্ষোভকারী। গত ২০ ডিসেম্বর মীরাটে হিংসার ঘটনা ঘটে। নিহত হন পাঁচ প্রতিবাদী। অভিযোগ ছিল পুলিশের গুলিতেই এই পাঁচ জনের প্রাণ গিয়েছে। তবে সেই অভিযোগ উড়িয়ে পুলিশ জানিয়েছে, অন্যান্য বিক্ষোভকারীদের আক্রমণেই নিহত হয়েছেন ওই পাঁচ জন। তাদের দেহ থেকে বুলটও মেলেনি। এমনকী মৃত্যু ঘিরে আলাদা করে কোনও অভিযোগও দায়ের হয়নি।
আরও পড়ুন: বিহারে এনপিআরের দিন ঘোষণা মোদীর, সম্মতি জেডিইউয়ের
মীরাট সিটি পুলিশের এনএসপি অজয় কুমার সাইনির দাবি, 'তারা নিজেদের মধ্যেই মারামারি করছিল। অপর গোষ্ঠীর হামলাতেই নিহত হয়েছেন পাঁচ জন। পুলিশের কাছে যে ভিডিও রয়েছে তাতেই দেখা যাচ্ছে গুলি ছোড়া হচ্ছে।' পুলিশের নথিতে রয়েছে ২০ ডিসেম্বর মীরাটে নিহত হয়েছেন, আসিফ, মহসীন, আলিম, জাহির ও মহম্মদ আসিফের। এরা সবাই আহমেদ নগরের বাসিন্দা। মৃতদের পরিবারের তরফে পুলিশে পৃথক কোনও এফআইআর দায়ের হয়নি বলে দাবি মীরাট পুলিশের।
এছাড়াও সাইনি বলেন, 'মৃতদেহ ক্ষত থাকলেও সেখান থেকে কোনও বুলেট উদ্ধার হয়নি। ফলে পুলিশের ছোড়া গুলিতেই ওই পাঁচ জন নিহত হয়েছেন কিনা তা স্পষ্ট নয়। মৃতদেহের ময়না তদন্তের পর তার রিপোর্ট এখনও হাতে পায়নি নিহতদের পরিবার। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ২০ ডিসেম্বরে নিহত দু'জনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছে। তারা জানিয়েছে, স্থানীয় থানাকে জানানো সত্ত্বেও এখনও রিপোর্ট মেলেনি। এপ্রসঙ্গে মীরাটের এসএসপি সাইনি বলেন, 'যথাযত প্রক্রিয়া মেনে উপযুক্ত সময়ে ময়না তদন্তের রিপোর্ট দেওয়া হবে। স্থানীয় থানা তদন্ত চালাচ্ছে। এরপর থানা থেকেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।'
আরও পড়ুন: মীরাটের মারের ভিডিওর জেরে ব্যাকফুটে উত্তর প্রদেশ পুলিশ
২০ ডিসেম্বরের হামলার প্রক্ষিতে মোট ২২টি এফআইআর দায়ের হয়েছিল। এর মধ্যে ৩টি নাগরিকরা দায়ের করলেও বাকিগুলি দায়ের করেছিল পুলিশ। মোট ১৬১ জনকে অভিযুক্ত করা হলেও গ্রেফতার করা হয়েছিল ৫০০ জনকে। চারটি থানায় মামলার প্রেক্ষিতে ৩৮ জন মুসলমান গ্রেফতার হয়। ধৃতদের মধ্যে কেউই জামিনের আবেদন করেনি। সাইনি জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজ ও অন্যসব ভিডিও দেখে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
Read the full story in English