ইউক্রেনে (Ukraine) রুশ হামলায় প্রথম ভারতীয়র মৃত্যু। খারকিভে বোমাবর্ষণে ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু। খারকিভে রুশ বোমা বর্ষণে ভারতীয়র মৃত্যু। জানানো হল বিদেশ মন্ত্রকের তরফে। নিহত পড়ুয়ার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ইউক্রেনে মৃত ছাত্র কর্ণাটকের বাসিন্দা। ইউক্রেন-রুশ যুদ্ধে নিহত কর্ণাটকের শেখারাপ্পা জ্ঞানগউধর নবীন। ‘নিহত পড়ুয়ার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে যোগাযোগ ভারতের’, অবিলম্বে ভারতীয়দের সুরক্ষিতভাবে ইউক্রেন ছাড়ার ব্যবস্থার দাবি। যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে হাজার হাজার ভারতীয় পড়ুয়া। অসহায় পড়ুয়াদের দেশে ফেরার আকুতি। আজই কিভ ছাড়ার জন্য নতুন অ্যাডভাইসরি জারি ভারতীয় দূতাবাসের।
এদিকে ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই। নিহত ছাত্রের পরিবারকে ফোন করে সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার পাশাপাশি তিনি তাদের জানান, মরদেহ ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার সবকিছু করছে। টুইটারে এক শোক বার্তায় তিনি লিখেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় কর্ণাটকের ছাত্রর মৃত্যুতে আমি মর্মাহত। পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা। তার আত্মা শান্তিতে থাকুক। আমরা প্রতিনিয়ত সেদেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি এবং সব কিছু করব। তার মৃতদেহ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।"
অন্যদিকে রুশ হানায় নিহত ভারতীয় ছাত্রের প্রতি শোকজ্ঞাপন করেন অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। শোক বার্তায় তিনি লিখেছেন "খারকিভের গোলাগুলিতে আমাদের নবীন শেখরপ্পা জি-এর মর্মান্তিক মৃত্যুতে আমি ব্যথিত। তার পরিবার ও প্রিয়জনদের আমার আন্তরিক সমবেদনা। আমরা ভারতীয়দের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছি।
অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী কর্ণাটকের ছাত্র মৃত্যুতে কৌশলগত ত্রুটির কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, “খারকিভে ভারতীয় ছাত্রের মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। তার পরিবার এবং বন্ধুদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা। আমি আবারও বলছি, ভারতীয়দের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য জিওআই-এর একটি কৌশলগত পরিকল্পনা দরকার। প্রতিটি মিনিট মূল্যবান।"
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল লিখেছেন, ‘ভয়ঙ্কর ঘটনা। তার পরিবারের জন্য আমার আন্তরিক সমবেদনা। সেই সঙ্গে তিনি লিখেছেন ‘ইউক্রেনে আটকে পড়া অন্য সমস্ত ভারতীয়দের নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করুন এবং আশা করি তারা শীঘ্রই দেশে ফিরে আসবে। আশা করি শীঘ্রই সংঘর্ষের অবসান ঘটবে’।
অন্যদিকে, ভারতে ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালেক্স এলিস এই হত্যাকাণ্ডে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং একে 'স্বৈরাচারী আক্রমণের ভয়াবহ পরিণতি' বলে অভিহিত করেছেন। তিনি লিখেছেন "ভয়ঙ্কর খবর! ভারতীয় ছাত্রের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা। স্বৈরাচারের আক্রমণের ভয়াবহ পরিণতি।"
ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি, চার্লস মিশেল, টুইটারে লিখেছেন "নিরপরাধ মানুষের ওপর নির্বিচারে রুশ হামলার কারণে আজ খারকিভে একজন ভারতীয় ছাত্রের প্রাণহানির জন্য আমি পিএমও ইন্ডিয়ার কাছে আমার সমবেদনা প্রকাশ করছি। ইউরোপীয় দেশগুলি আন্তরিকভাবে ভারতীয় নাগরিকদের সাহায্য করছে ইউক্রেন থেকে সরে যেতে।"
এমইএ মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি একটি টুইট বার্তায় বলেছেন যে ভারত রাশিয়া এবং ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূতদের ডেকে যুদ্ধের মধ্যে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের জন্য নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছে’।