/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/02/cats-212.jpg)
রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রকে রক্ষা ও তাকে শক্তিশালী করে তুলতে পশ্চিমী দেশগুলোর সংকল্পকে আরও শক্তিশালী করেছে। কিয়েভ সফরের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার পোল্যান্ডে এক ভাষণে এই কথা বলেন। বাইডেন স্পষ্টভাবে বলেন, রাশিয়া কখনই ইউক্রেনের জয় করতে পারবে না। পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশতে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে একটি বার্তা পাঠিয়ে বলেন যে রাশিয়ার সেনাবাহিনী যুদ্ধের সময় নিরপরাধ সাধারণ মানুষকে তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে।
Poland | Ukraine will never be a victory for Russia, never. One year after bombs begin to fall, Russian tanks begin to roll, Ukraine is still independent & free: US President Joe Biden in Warsaw pic.twitter.com/oQQp8vPXFU
— ANI (@ANI) February 21, 2023
সোমবারই ঝটিকা ইউক্রেন সফরে গিয়ে রাশিয়াকে কার্যত তুলোধনা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বলেছেন, হামলা দেখে মনে হয়েছিল কিয়েভ দখলই করে নেবে রাশিয়া। কিন্তু, কিয়েভ তো টিকে আছে। অট্টহাসির সঙ্গে বাইডেনের এই সব মন্তব্য খোলা মনে নেননি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রাশিয়ার অভ্যন্তরে ইউক্রেনে হামলা নিয়ে বহুমতি থাকলেও পুতিনের চাপেই কিয়েভ-সহ ইউক্রেনের নানা শহরে হামলা চালিয়েছে রুশ সেনা। স্বভাবতই মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই রসিকতা মাখা কটাক্ষে পুতিন বেজায় চলেছেন। তাই পরমাণু চুক্তি চুলোয় তুলে মঙ্গলবার পুতিন পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দেন। একইসঙ্গে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের কায়দায় পুতিন জানিয়েছেন যে রাশিয়া ফের পরমাণু বোমার পরীক্ষা চালাতে পারে।
ঠান্ডা যুদ্ধের পরবর্তীতে ইউক্রেনে হামলাই রুশ-মার্কিন টানাপোড়েনের সবচেয়ে বড় অধ্যায়। সেই ইউক্রেনে হামলার বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বলতে গিয়ে পুতিন নিজের অবস্থানে অটল থাকেন। তিনি জানান, রাশিয়া এই যুদ্ধে তার লক্ষ্য অর্জন করবে। পশ্চিমের দেশগুলো রাশিয়াকে ধ্বংসের চেষ্টা চালাচ্ছে। সেটা রোখাই যে রাশিয়ার কাছে এখন অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ, সেটাও বুঝিয়ে দেন পুতিন।
ইউক্রেন ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে পুতিন জানান, ওয়াশিংটন ইউক্রেন ইস্যুকে বিশ্বযুদ্ধের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। একইসঙ্গে তিনি জানান, রাশিয়া মস্কো এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে সর্বশেষ প্রধান অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ‘নিউ স্টার্ট চুক্তি’ বাতিল করছে। এই চুক্তি এমনিতেই ২০২৬-এ শেষ হওয়ার কথা। তার আগে মঙ্গলবার পুতিন বলেন, ‘আমি আজ ঘোষণা করতে বাধ্য হচ্ছি যে, রাশিয়ার তার কৌশলগত অস্ত্রহ্রাস চুক্তি বাতিল করতে বাধ্য হচ্ছে।’
পুতিন অভিযোগ করেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনও প্রমাণ না-রেখে গোপনে তার পরমাণু অস্ত্রের সম্ভার বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে। আর, সেই অনুযায়ী কৌশল গ্রহণ করেছে। সেকথা মাথায় রেখে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং পরমাণু সংস্থাগুলোও ফের পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার জন্য তৈরি।