জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় বৃহস্পতিবার বিকেলে ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলায় পাঁচ সেনা জওয়ান নিহত হয়। ওই অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত এবং কম দৃশ্যমানতার সুযোগ নিয়েছিল জঙ্গিরা। নিহতরা হলেন হাভ মনদীপ সিং, ল্যান্সনায়েক কুলবন্ত সিং, পাঞ্জাবের সেপাই হরকৃষ্ণ সিং এবং সেপাই সেবক সিং এবং ওড়িশার ল্যান্সনায়েক দেবাশীষ বাসওয়াল।
উধমপুর-ভিত্তিক নর্দান কমান্ড এক বিবৃতিতে বলেছে, “সন্ত্রাসবাদীরা সম্ভবত গ্রেনেড ব্যবহার করে। আর ঠিক সেই কারণেই গাড়িটিতে আগুন লেগে যায়”। ঘটনাটি ঘটে বিকেল ৩টে নাগাদ। সেনাবাহিনীর গাড়িটি রাজৌরি সেক্টরের ভিম্বার গালি এবং পুঞ্চের মধ্যে যাচ্ছিল। সেনা সূত্রের খবর, গাড়িটি দুই-তিনটি গাড়ির একটি ছোট কনভয়ের অংশ ছিল এবং হামলাটি সম্ভবত একটি “পরিকল্পিত হামলা” ছিল। উপত্যকা থেকে রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের সেনাদের প্রত্যাহার করার এবং সিআরপিএফকে শূন্যস্থান পূরণ করার প্রস্তাব নিয়ে সামরিক নেতৃত্ব এবং সরকারের মধ্যে আলোচনার মধ্যে এই আক্রমণটি ঘটে।
আর এবার এই ঘটনায় বড়সড় সাফল্য পেল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে এক গ্রামবাসী সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয়, খাবার দিয়েছিল। দুই-তিন মাস ধরে সেই গ্রামেই থাকতে শুরু করেছিলেন জঙ্গিরা এবং হালমার ছক কষতে থাকে। সূত্রের খবর ভয়াবহ এই হামলার পর ৬০ জন গ্রামবাসীকে জেরার মুখে এক গ্রামবাসী জঙ্গিদের থাকা এবং তাদের খাবার দেওয়ার বিষয়টি পুলিশি জেরার স্বীকার করেন।
সূত্রের খবর সন্ত্রাসবাদীরা প্রথমে গ্রামবাসীর বাড়িতে থাকতে শুরু করে এবং হামলা চালানোর পর ভাট্টা দুরিয়ান বনে পালিয়ে যায়। এদিকে, বুধবার উত্তরাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী এলাকায় তদন্তের গতিপ্রকৃতি খতিয়ে দেখেন এবং সেনাবাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পাঁচ দিনের মধ্যে এটি তার দ্বিতীয় সফর। এর আগে ২২শে এপ্রিল সেখানে গিয়েছিলেন তিনি।