'আমি এখনও জীবিত’ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই ভক্তদের উদ্দেশ্যে বার্তা পোপ ফ্রান্সিসের। শনিবারই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে ভ্যাটিকানে ফিরে এসেছেন পোপ ফ্রান্সিস। শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে বুধবার রোমের জেমেলি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই পোপ ফ্রান্সিস শুভাকাঙ্ক্ষীদের শুভেচ্ছা জানান সাংবাদিকদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত কথাও বলেন। পাশাপাশি তিনি হাসপাতালের কর্মীদের প্রশংসা করেছেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই সন্তানশোকে কাতর মহিলাকে সান্ত্বনা জানানোর পাশাপাশি, মৃত সন্তানের আত্মার শান্তি চেয়ে প্রভুর কাছে প্রার্থনা করে পোপ ফ্রান্সিস।
হাসপাতালে থাকার সময় তিনি ভয় পেয়েছিলেন কিনা সাংবাদিকরা জানতে চাইলে পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ‘না, মোটেও ভয় পাননি’। হাসপাতালের সকল কর্মচারীদের কাজের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের সবাই খুব সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করেন, রোগীদের প্রতি তাদের অনেক ভালোবাসা রয়েছে। ধৈর্য এবং দক্ষতা নিয়ে তাঁরা সকলের সেবাদানে ব্রতী। তিনি আরও বলেন, আমি শিশুদের ওয়ার্ডে গিয়ে দেখেছি হাসপাতালের কর্মীরা কতটা ভালোবাসার সঙ্গে শিশুদের যত্ন নেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার পোপ ফ্রান্সিসের দ্রুত সুস্থতার কামনা করে একটি ট্যুইটও করেন। প্রধানমন্ত্রী একটি টুইট বার্তায় লেখেন ‘আমি পোপ ফ্রান্সিসের সুস্বাস্থ্য এবং দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি’।
শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে গত বুধবার হাসপাতালে ভর্তি হন পোপ ফ্রান্সিস। বেশ কিছুদিন ধরেই শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল তাঁর। এরপরই বুধবার তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে পোপ ফ্রান্সিসের কোভিড পরীক্ষাও করা হয়েছে তবে তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এর আগে, পোপকেও ২০২১ সালের জুলাইয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।মাত্র ২০ বছর বয়সে তার ফুসফুসের একটি অংশ বাদ দিতে হয়।
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর পোপ ফ্রান্সিস তার গাড়ি থেকে নামলেন। তিনি শুভাকাঙ্ক্ষীদের শুভেচ্ছা জানান এবং সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তিনি নিশ্চিত করেছেন যে তিনি সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারে পাম সানডে সেবার সভাপতিত্ব করবেন এবং তার সাপ্তাহিক ভাষণ দেবেন। ফিরে আসার আগে, পোপ ফ্রান্সিস হাসপাতাল চত্ত্বরে এক সন্তানহারা মহিলাকে সান্তনা দেন। বাবা-মায়ের সঙ্গে তিনি সন্তানের হয়ে প্রভুর কাছে প্রার্থনাও করেন তিনি। এরপর সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ভ্যাটিক্যানের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি।