অচেনা উপসর্গে রহস্য়ের জালে করোনা, ধোঁয়াশা কাটাতে মরিয়া বিজ্ঞানীরা

বিজ্ঞানীদের মতে, করোনা নিয়ে যে ধোঁয়াশাগুলি থেকে গিয়েছে, সেই রহস্য় উদঘাটন করতে পারলেই ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে বড় ধাপ এগোনো যেতে পারে।

বিজ্ঞানীদের মতে, করোনা নিয়ে যে ধোঁয়াশাগুলি থেকে গিয়েছে, সেই রহস্য় উদঘাটন করতে পারলেই ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে বড় ধাপ এগোনো যেতে পারে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
covid-19, করোনাভাইরাস, করোনা, ভাইরাস কোভিড ১৯, covid-19 outbreak, covid-19 lockdown, covid-19 cases, covid-19 deaths, covid-19 recovered, covid-19 scientists, করোনাভাইরাস, মিউটেশন, coronavirus mutation, coronavirus unusual symptoms, covid-19 mysteries, unsolved covid-19 mysteries, upasana ray, csir-indian institute of chemical biology kolkata senior scientist, csir-indian institute of chemical biology kolkata, s1 subunit spike protein, s2 subunit spike protein, the lancet infectious diseases journal, subhajit biswas, national centre for biological sciences bengaluru, national centre for biological sciences neurosicentist, shannon olsson, nature medicine journal, thrombosis research journal, covid toes

ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

যত দিন গড়াচ্ছে, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের দাপট বেড়েই চলেছে। ভাইরাস বিনাশ করতে প্রতিষেধক তৈরির কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু করোনাকে তাড়াতে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে তাবড় তাবড় চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের। ভাইরাস নিয়ে এখনও অনেক ধোঁয়াশা থেকে গিয়েছে। ক্ষণে ক্ষণে মিউটেশন (পরিব্য়ক্তি) করে নভেল করোনাভাইরাস চরিত্র বদল করে কিনা, সে নিয়ে যেমন ধোঁয়াশা রয়েছে, তেমনই ঘ্রাণ শক্তি হারিয়ে ফেলার মতো অস্বাভাবিক উপসর্গও রীতিমতো ভাবাচ্ছে বিজ্ঞানীদের। আর এই দুটি ক্ষেত্রেই করোনা নির্মূল মিশনে ধোঁয়াশায় বিজ্ঞানীরা।

Advertisment

গত বছরের ডিসেম্বরে চিনের উহান প্রদেশে ভাইরাসের প্রকোপের পর থেকেই কোভিড ১৯ নিয়ে একাধিক সূত্র চর্চা করা হয়েছে বিভিন্ন গবেষণায়। বিজ্ঞানীদের মতে, করোনা নিয়ে যে ধোঁয়াশাগুলি থেকে গিয়েছে, সেই রহস্য় উদঘাটন করতে পারলেই ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরিতে বড় ধাপ এগোনো যেতে পারে। উল্লেখ্য়, ভাইরাসের আক্রমণে ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষের মৃত্য়ু হয়েছে গোটা দুনিয়ায়।

আরও পড়ুন: করোনা ভ্যাকসিনের দৌড়ে কে কোথায়; ভারতে ছ’মাসের মধ্যে হিউম্যান ট্রায়ালের ইঙ্গিত

সংবাদসংস্থা পিটিআইকে ভাইরোলজিস্ট উপাসনা রায় জানিয়েছেন, করোনার প্রতিষেধক তৈরিতে অন্য়তম প্রধান ধোঁয়াশা হল, স্পাইক প্রোটিনে মিউটেশনের রূপান্তরের হার। তাঁর কথায়, হোস্ট সেলের (আক্রান্ত)সঙ্গে ভাইরাসকে সংযুক্ত করতে সাহায্য় করে স্পাইক প্রোটিন এবং কোষ প্রাচীরের প্রোটিনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শরীরের ভিতর প্রবেশ করে। কিন্তু গবেষণায় দেখা গিয়েছে সেই স্পাইক প্রোটিন রূপে এসেছে বদল। মূলত ভারতীয় যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, সেখানে ভাইরাসটিতে বেশ কিছু মিউটেশন দেখা গিয়েছে।

Advertisment

করোনার চরিত্র ঠাহর করতে গিয়ে আরও একটা তথ্য় ভাবাচ্ছে বিজ্ঞানীদের। দেখা গিয়েছে, যাঁরা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের অন্য়ান্য় অ্য়ান্টিবডি পরীক্ষার ফল পজিটিভ মিলতে পারে। দ্য় ল্য়ান্সেট ইনফেকশনস ডিজিজের মার্চের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সিঙ্গাপুরে এক মহিলা ও পুরুষের সিরাম নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তাঁদের শরীরে ডেঙ্গি অ্য়ান্টিবডি পরীক্ষার রিয়্য়াকশন লক্ষ্য় করা গিয়েছে। যদিও তাঁদের মশাবাহিত রোগের কোনও রেকর্ড ছিল না। পরে তাঁরা করোনায় আক্রান্ত হন।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

coronavirus