ভয়ঙ্কর করোনার ডবল ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছিল ডিসেম্বরেই, কিন্তু সজাগ করেনি কেউ!

নতুন মিউট্যান্টের চরিত্র সম্বন্ধে সেভাবে অবগত ছিল না গবেষকরা। ফলে সমন্বয়ের অভাব ছিল প্রশাসন ও গবেষকদের।

নতুন মিউট্যান্টের চরিত্র সম্বন্ধে সেভাবে অবগত ছিল না গবেষকরা। ফলে সমন্বয়ের অভাব ছিল প্রশাসন ও গবেষকদের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য দায়ী এই অণুজীবের সম্ভাব্য ডাবল ভ্যারিয়েন্ট। আর গত ডিসেম্বরে সেই ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল মহারাষ্ট্রে। কিন্তু সেই ভ্যারিয়েন্ট যে এতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে, সেটা আন্দাজ করতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা। ফলে সেভাবে সজাগ ও সতর্ক করা হয়নি দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে। শনিবার এমন দাবি করেছেন অণুজীব গবেষক অনুরাগ আগরওয়াল।

Advertisment


সেই সময় করোনা গ্রাফ ছিল নিম্নমুখী এবং টিকার হিউম্যান ট্রায়ালে মিলেছিল সবুজ সংকেত।

পাশাপাশি নতুন মিউট্যান্টের চরিত্র সম্বন্ধে  সেভাবে অবগত ছিল না গবেষকরা। ফলে সমন্বয়ের অভাব ছিল প্রশাসন ও গবেষকদের। এমনটাই জানান তিনি।

এদিকে, ফের সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি রাজধানীর আরও একটি হাসপাতালে। দেশজুড়ে অক্সিজেনের জন্য হাহাকার।

Advertisment

চেয়েও মেলেনি অক্সিজেন। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে অক্সিজেনের অভাবে প্রাণ যাচ্ছে একের পর এক করোনা আক্রান্তের। নিরুপায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার রাতে এমনই ভয়াবহ ছবি রাজধানী দিল্লির জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতালের। অক্সিজেনের অভাবে প্রাণ গিয়েছে ২০ জন রোগীর। একাধিক রোগীর অবস্থা সঙ্কটজনক।

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতালের সুপার ডাঃ ডি কে বালুজা বলেছেন, ‘ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে এই ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রাতে ২০ জন অতি সংকটজনক রোগীর অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয়েছে। একেবারে অক্সিজেন শূন্য হয়ে গিয়েছিল তা নয়, তবে অক্সিজেনের ঘাটতি থাকায় অক্সিজেনের চাপ কম ছিল।’

হাসপাতাল সুপারের কথায়, ‘শুক্রবার বিকেল ৫টায় আমাদের ৩,৬০০ লিটার অক্সিজেন পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমরা রাত ১২টায় ১,৫০০ লিটার পেয়েছি। প্রায় ৭ ঘণ্টার এই দেরিতে অক্সিজেনের চাপ কমিয়ে রাখতে হয়েছিল। রিফিল করার পরও বেশ কিছুটা সময় লাগে নতুন করে অক্সিজেনের চাপ তৈরি হতে। এতে সাধারাণ রোগীরা মানিয়ে নিতে পারলেও য়াঁদের প্রচণ্ড পরিমানে অক্সিজেনের প্রয়োজন তাদের অসুবিধা হয়।’

দেশের রাজধানী দিল্লিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর থেকেই অক্সিজেনের অভাব দেখা দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও একাধিক বার কেন্দ্রের কাছে বাড়তি অক্সিজেনের পাঠানোর আবেদন করেছেন। দিল্লির যেসব হাসপাতালে অক্সিজেনের ঘাটতি রয়েছে তাদের মদ্যে অন্যতম জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতাল।

বৃহস্পতিবার রাতে স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয়েছিল ২৫ করোনা রোগীর। এতেই দেশজুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এরপরও সেই একই ঘটনা ঘটল রাজধানীর জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতালে।

Corona India Double Variant Maharashtra