উত্তরপ্রদেশের উন্নাও জেলায় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ১৮ বছর বয়সি এক নার্সের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে তোলপাড় দেশ। তার মাঝেই উন্নাও পুলিশ রবিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট অনুসারে ধর্ষণের কোন প্রমাণ মেলেনি।ঘটনায় এক বেসরকারি হাসপাতালের মালিক এবং অন্য তিনজনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ এবং হত্যার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মেয়েটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এই তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে উন্নাও পুলিশ।
এফআইআরে বলা হয়েছে, ওই নার্স শুক্রবার হাসপাতালে কাজে যোগ দিয়েছিল এবং শনিবার সকালে তাঁর দেহ নার্সিংহোমের একটি পিলার থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে।পরিবারের অভিযোগ, মেয়েটিকে হত্যার আগে হাসপাতালের মালিক এবং অন্য তিন জন গণধর্ষণ করেছিল। পরে, এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা হিসাবে দেখানোর জন্য তাঁর লাশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সপ্তাহের প্রথম দিনে দেশে করোনা-স্বস্তি, সামান্য নিম্নমুখী কোভিডগ্রাফ
যদিও পুলিশ মেয়েটির পরিবারের এই অভিযোগ মানতে চায়নি। উন্নাও এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শশী শেখর সিং এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, 'নার্সের পোস্টমর্টেম রিপোর্টে ধর্ষণের কোন প্রমাণ মেলেনি।। মৃত্যুর কারণ হিসাবে রিপোর্টে 'শ্বাসরোধের' উল্লেখ করা হয়েছে। তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি"। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে।
এদিকে এই ঘটনায় একজনে ইতিমধ্যেই আটক একজনকে জেরায় বেশ কিছু বিষয় সামনে এসেছে বলে জানিয়েছে উন্নাও পুলিশ। যুবক জেরার নার্সের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছে। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন 'নার্সিং হোমে যোগ দেওয়ার আগে দুজনেই একটি বেসরকারি হাসপাতালে একসঙ্গে কাজ করতেন। কিন্তু ভিন ধর্মের কারণে পরিবার তাদের সেই সম্পর্ককে মেনে নেয় নি। যা নিয়ে তিনি মানসিক চাপে ছিলেন'।