আগস্টে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ করেছে কেন্দ্র। তার জেরে ভারত পাকিস্তান উত্তেজনা চরমে। আগেই ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল ইসলামাবাদ। নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল পাক আকাশ পথ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও। এবার ভারতের সঙ্গে ডাকযোগে আদানপ্রদান বন্ধের ঘোষণা করল ইমরান খান সরকার। যা উভয় দেশের, বিশেষত দুই পাঞ্জাবের সাংস্কৃতিক সম্পর্কে বড় আঘাত বলে মনে করা হচ্ছে।
ডাকযোগে ভারতের তরফ থেকে চিঠি গ্রহণ বা সেদেশ থেকে চিঠি প্রেরণে নিষেঝাজ্ঞা জারি করেছে পাকিস্তান। ভারতের ডাক বিভাগের উপ-মহানির্দেশক অজয় কুমার রায় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে ইসলামাবাদের এই পদক্ষেপের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, 'চলতি বছরের আগস্টের ২৩ তারিখ পাকিস্তানের শুল্ক বিভাগ লিখিত নির্দেশের মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে চিঠি আদানপ্রদান বন্ধ করে দেয়। নির্দেশ কার্যকর হয়েছে গত ২৭শে আগস্ট থেকে।' তাঁর সংযোজন, 'একতরফাভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। সাধারণত আকাশ পথেই সৌদি আরবের মাধ্যমে সেদেশে থেকে এদেশে চিঠি আদানপ্রদান হত। এক্ষেত্রে আমাদের কিছু করণীয় নেই। এটা সম্পূর্ণ তাদের সিদ্ধান্ত।'
আরও পড়ুন: Modi UNGA highlights: সন্ত্রাস মোকাবিলায় বিশ্বকে একজোট হওয়ার বার্তা মোদীর
দেশভাগের ফলে পাঞ্জাব প্রদেশ দুটুকরো হয়। একদিক পাকিস্তানের দিকে, অন্যটি ভারতের। কিন্তু, সংস্কৃতি, ভাষা দুই প্রদেশে একই। ফলে কাঁটাতারের বেড়া থাকলেও মননে দুই পাঞ্জাবেব বাসিন্দারা একাত্ম অনুভব করেন। সেই সূত্রেই, পাঞ্জাবেব দুই প্রান্তের মানুষের মধ্যে চিঠি, ম্যাগাজিন সহ বিভিন্ন দ্রব্য আদানপ্রদান হত। বিশেষ করে, সেদেশ থেকে প্রকাশিত গুরুমুখী ভাষায় লেখা একমাত্র পত্রিকা 'পাঞ্জাব দে রঙ্গ'। কিন্তু, পাক সরকারের নয়া ফরমানে এই পত্রিকা এদেসে আসতে পারছে না। ফলে বিপন্ন সংস্কৃতি।
'পাঞ্জাব দে রঙ্গের' সম্পাদক ইশান এইচ নাদিম ফোনে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, 'সম্প্রতি ৭০টি পত্রিকা ভারতের পাঠকদের জন্য পাঠানো হয়েছিল। তবে, সবকটিই ফের ফেরৎ পাঠিয়েছে পপাকিস্তান ডাক বিভাগ।' এছাড়াও তিনি বলেন, 'আমাদের জানানো হয়েছে ভারতের সঙ্গে ডাক যোগে কোনও আদানপ্রদাণ হবে না। ২০১০ সাল থেকে এধরণের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়নি। যখন আমরা গুরু নানকদেবজির ৫৫০ তম জন্মদিন পালন করছি তখন এই নিষেধাজ্ঞা খুবই দুর্ভাগ্যের।' পাক সরকারের সিদ্ধান্তকে উভয় দেশের সংস্কৃতির উপর নৃশংস আঘাত বলে মনে করছেন 'পাঞ্জাব দে রঙ্গের' প্রকাশক সংস্থা দয়াল সিং রিসার্চ এন্ড ফাউন্ডেশন। জানালেন, পত্রিকা সম্পাদক নাদিম।
Read the full story in English