Advertisment

প্রচন্ড রফা সূত্র: মানচিত্র বিতর্কে সার্বভৌমত্ব-সাম্য বজায় রেখে কাঠমান্ডুর সঙ্গে আলোচনা করুক দিল্লি

আলোচনার মাধ্যমে ভারতর সঙ্গে বিরোধ সমাধানে আগ্রহী নেপাল। এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির কো-চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার দাহাল ওরফে প্রচন্ড।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
'সারেন্ডার মোদী', চিন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে চরম কটাক্ষ রাহুলের

পুষ্প কমল দাহাল

আলোচনার মাধ্যমে ভারতর সঙ্গে বিরোধ সমাধানে আগ্রহী নেপাল। এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির কো-চেয়ারম্যান পুষ্প কমল দাহাল ওরফে প্রচন্ড। তাঁর কথায়, 'দেশের সার্বভৌমত্ব, সাম্য ও পারস্পরিক সম্মানের' উপর ভিত্তি করে এই আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় কাঠমান্ডু।

Advertisment

শুক্রবার চিনা কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগ ও নেপাল কমিউনিস্ট দলের স্কুল ডিভিশনের যৌথ উদ্যোগে এক আলোচনাসভায় ভিডিও বার্তা দেন প্রচন্ড। সেখানেই তিনি বলেন, 'সার্বভৌমত্ব, সাম্য ও পারস্পরিক সম্মান-বোঝাপড়ার উপর ভিত্তি করেই আলোচনার মাধ্যমে নেপাল বন্ধু রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিরোধ মেটাতে আগ্রহী।'

প্রচন্ডের কথায় ভারতের উল্লেখ ছিল না। কিন্তু, মানচিত্র বিতর্ক ঘিরে ভারতের সঙ্গে নেপালের বিরোধের প্রেক্ষিতেই নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির কো-চেয়ারম্যান এই মন্তব্য করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রচন্ডের কথায়, 'বর্তমান সভ্য সমাজে জবরদস্তি-হুমকি দিয়ে দুই বা একাধিক দেশের মধ্যে বিরোধ সমস্যার সমাধানের কোনও জায়গা নেই।'

চিনের সঙ্গে সখ্যতা বাড়াচ্ছে কাঠমান্ডু। প্রচন্ডের কথাতেও এদিন তার প্রমাণ মিলেছে। ভিডিও বার্তায় চিনের প্রশংসা করেন তিনি। বলেন, 'বর্তমানে চিন বিশ্বব্যাপী মানবিক সংকট নিরসনে যথাযত ভূমিকা নিতে সক্ষম ও আগ্রহী।' আমেরিকার সঙ্গে মিলেনিয়াম চ্যালেঞ্জ কর্পোরেশন এগ্রিমেন্টের ফলে নেপাল ৫০০ মিলিয়ান মার্কিন ডলার অনুদান পাবে। কিন্তু, নেপাল সেই চুক্তিতে রাজি নয় বলে এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন প্রচণ্ড। তাঁর মতে, 'সুরক্ষার সঙ্গে যুক্ত যা সংবিধান বিরোধী তা গ্রহণযোগ্য নয়।' নেপালের সার্বভৌতত্বকে সম্মান করে বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর এমন সাহায্য়ই কাঠমান্ডু গ্রহণ করবে বলে জানান তিনি।

এর আগে মিলেনিয়াম চ্য়ালেঞ্জ কর্পোরেশন এগ্রিমেন্ট ঘিরে প্রধানমন্ত্রী কে পি ওলিকেও সতর্ক করেছেন প্রচন্ড। দলের অভ্যন্তরেই ওলিকে বিরোধের মুখোমুখি হতে হবে বলে সাবধান করেন তিনি। উল্লেখ্য, এই বিল নিয়ে নেপাল কংগ্রেসের অনেকেই প্রতিবাদে মুখর। উন্নয়নের নামে এই চুক্তি দেশের সার্বভৌমত্ব বিরোধী বলে মনে করেন তারা।

তবে, চিনের সঙ্গে অতিরিক্ত সখ্যতা ঘিরেও নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। প্রচন্ডের কথায়, 'কাঠমান্ডু-বেজিং সম্পর্ক ঝঞ্ঝাটহীন ও সময়ের প্রেক্ষিতে বিচার্য।' চিনের সঙ্গে তাইওয়ানের শান্তিপূর্ণ অন্তর্ভুক্তি ও বেজিংয়ের'ওয়ান চায়না' নীতির পক্ষে নেপাল বলে এদিন জানান প্রচন্ড। চিনা কমিউনিস্ট পার্টি নেপালের কমিউনিস্ট দলের সঙ্গে যৌথ উন্নয়ন, শান্তি ও সম্প্রীতির লক্ষ্যে কাজ করবে বলে জানান তিনি।

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Nepal India
Advertisment