হিজাব মামলার শুনানি ফের সোমবার হবে বলে জানিয়ে দিল কর্ণাটক হাইকোর্ট। শুক্রবার মামলার শুনানি মুলতুবি রাখল হাইকোর্ট। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করার রাজ্য সরকারের নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আপিল করেছেন উদুপির সরকারি কলেজের এক ছাত্রী। আজ মামলার শুনানির ষষ্ঠদিন ছিল।
তবে এদিন মামলার শুনানি চলাকালীন আদালতে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল। তিনটি বিষয়ে তিনি জোর দিয়েছেন। সেগুলি হল, হিজাব নিষিদ্ধ করার বিষয়টি শিক্ষা সংক্রান্ত আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। হিজাব ইসলাম ধর্মে অপরিহার্য এমনটা কোথাও লেখা নেই। আর হিজাব পরার অধিকার বিষয়টি অবশ্যই সাংবিধানিক মর্যাদায় উন্নীত হতে হবে। ঠিক যেমন সবরীমালা বা শাহ বানো মামলাকে সাংবিধানিক নীতি এবং ব্যক্তিগত মর্যাদার পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে, ঠিক সেরকম।
এদিন এজি প্রভুলিং নাভাড়গি আদালতে বলেন, রাজ্য সরকার এই অবস্থান নিয়েছে যে ইসলামে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ধর্মীয় আচারের মধ্যে পড়ে না। তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকার সমস্ত পড়ুয়াদের নির্দেশ দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মতোই ইউনিফর্ম পরে আসতে হবে। কারও ধর্মীয় বিষয়ে কখনও সরকার হস্তক্ষেপ করবে না। আদালত মামলার পরবর্তী শুনানির দিন সোমবার ধার্য করেছে।
আরও পড়ুন টনক নড়ল UP সরকারের, CAA বিক্ষোভে ক্ষতি পুনরুদ্ধারে জারি নোটিস প্রত্যাহার
এদিকে, হিজাব বিতর্কের মধ্যে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন কর্ণাটকের মন্ত্রী কে ঈশ্বরাপ্পা। তিনি বলেছিলেন, শীঘ্রই তিরঙ্গার বদলে গেরুয়া ধ্বজা দেশের জাতীয় পতাকা হবে। তাতে বিতর্কের ঝড় ওঠে। শুক্রবার কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি শিবাকুমার দাবি করেন, এই মন্তব্যের জন্য ঈশ্বরাপ্পার ইস্তফা দেওয়া উচিত। যদি তাঁকে বরখাস্ত না করা হয় তাহলে বিধানসভার অধিবেশন ভনণ্ডুল করার পাশাপাশি আদালতের দ্বারস্থ হবে কংগ্রেস।