দরিদ্র দেশবাসীর মাথার উপর ছাদ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই ভেবেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাও চালু হয়েছিল। যার মধ্যে গৃহ নির্মাণে সুবিধাভোগীদের জন্য একটি স্কিম চালু করেছিল মোদী সরকার। যার মূল লক্ষ্য ২০২২ সালে ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের আগে শহরাঞ্চলে সাশ্রয়ী মূল্যে সকলকে বাড়ি তৈরিতে সাহায্য করা। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের একটি জনপ্রিয় স্কিম এই বিএলসি।
নিজেদের জমি যদি থাকে সেক্ষেত্রে একচালা বাড়ি নির্মাণের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়। এই প্রকল্পের অন্য তিনটি উপাদান হ'ল ক্রেডিট লিংকড সাবসিডি স্কিম (সিএলএসএস), সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন অংশীদারি (এএইচপি) এবং ইন-সিটু বস্তি পুনর্বাসন (আইএসএসআর)।
বিএলসি-এর অধীনে নতুন বাড়ি তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার উপকারভোগীদের জন্য দেড় লক্ষ টাকা সাহায্য করে। তবে সেই বাড়ির মাপ নির্ধারণ করা আছে। সেই মাপ মতো বাড়ি করলেই এই সুবিধা পাবেন উপভোগকারীরা। অনেক রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ছাড়াও মহারাষ্ট্রে যেমন রাজ্য সরকারের তরফে আরও এক লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন, ভারতীয় মুসলিমরা সবচেয়ে সুখে রয়েছেন, দাবি RSS প্রধান মোহন ভাগবতের
কিন্তু এই প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের হতাশ করেছে সরকারের ভর্তুকি। কাজ করা শুরু হলেও দেড় লক্ষ টাকার কেন্দ্রীয় ভর্তুকি এখনও আটকে রয়েছে। এর ফলে ২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ২ লক্ষ ১৯ হাজার বাড়ির টাকা অনুমোদিত হলেও কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে মাত্র ২২ হাজার বাড়ির।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সঙ্গে জড়িত রাজ্য ও ইউনিয়ন সরকারি আধিকারিকেরা কিন্তু জোর দিয়ে বলেছেন যে এই প্রকল্পের জন্য তহবিলের কোনও অভাব নেই। কিন্তু বিভিন্ন দফতরে বেশ কিছু সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে, সেখানেই জমা করার কাজ আটকে থাকায় টাকা মিলছে না। ফলে কাজ এগোলেও টাকার জন্য থমকে রয়েছে প্রকল্প। এর মধ্যে করোনা অতিমারী এবং দীর্ঘ সময়ের লকডাউনের জেরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। আর্থিক মন্দার জেরে পরিবারগুলি নিজেরাও তাঁদের অর্থ বিনিয়োগ করতে সাহস পাচ্ছেন না। ফলত মাথায় উপর ছাদের স্বপ্ন আপাতত মাথায় উঠেছে একাধিক পরিবারের।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন