/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/01/p-1-1.jpg)
ভোপালের সাংসদ ও বিজেপি নেত্রী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর।
ভোপালের সাংসদ তথা বিজেপি নেত্রী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরের বাড়ির ঠিকানায় রহস্যজনক চিঠিকাণ্ডে আটক হলেন এক চিকিৎসক। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে শনিবার ধানেগাঁও থেকে সৈয়দ আব্দুল রহমান খানকে আটক করে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। তবে গত তিন মাস ধরেই পুলিশের নজরে ছিলেন তিনি। তাঁর মা ও ভাইয়ের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের যোগ রয়েছে, এই দাবি করে আগেও বেশ কয়েকবার সরকারি আমলাদের চিঠি পাঠান রহমান, এমনটাই দাবি পুলিশের। সেই সময়ও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবারের চিঠি প্রসঙ্গে প্রজ্ঞা ঠাকুরের অভিযোগ, চিঠির সঙ্গে "বিষ" মেশানো ছিল।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইটওয়ারা থানার ইন্সপেক্টর প্রদীপ কাকাদে বলেন, "বৃহস্পতিবার রাতেই অভিযুক্তের সন্ধান পায় পুলিশ। মা ও ভাইয়ের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের যোগ রয়েছে, এই দাবি করে এর আগেও সরকারি আমলাদের চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। তখন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সম্পূর্ণ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তাঁকে গ্রেফতার করা উচিত বলে মনে করে পুলিশ। তাঁর সন্ধানে মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করা হয়। তবে, নানদেরের বাড়িতে ছিলেন না তিনি। আওরঙ্গাবাদ, নাগপুরে গিয়ে তিনি এই সব চিঠি সাংসদকে পাঠিয়েছেন বলে মনে করছে পুলিশ।'
আরও পড়ুন: গডসে বিবৃতি নিয়ে লোকসভায় প্রজ্ঞা ঠাকুরের দুবার ক্ষমাপ্রার্থনা
দিন কয়েক আগেই ভোপালের সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুরের কাছে রহস্যজনক খামে বেশ কয়েকটি চিঠি এসেছিল। উর্দুতে লেখা চিঠিটির সঙ্গে পাউডার সদৃশ একটি পদার্থ মেলে। যা ঘিরে রহস্য দানা বাঁধে। চিঠিতে সাদা কালোতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও স্বয়ং ভোপালের সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরের ছবিও রয়েছে। চিঠিতে আসলে কোনও বিষাক্ত পদার্থ রয়েছে, এই মর্মে থানায় অভিযোগ করেন বিজেপির বিতর্কিত সাংসদ। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই তদন্তে নেমে পুলিশ আটক করে চিকিৎসক সৈয়দ আব্দুল রহমান খানকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধানেগাঁওয়ে একটি ক্লিনিক চালান অভিযুক্ত।
Read the full story in English