সব মাপকাঠিতেই উৎকৃষ্টতম দ্বিজ ব্রাহ্মণরা, দৃঢ় বিশ্বাস কেরালা হাইকোর্টের এক বিচারপতির। তাই তিনি জাত ভিত্তিক সংরক্ষণ না চেয়ে চাইছেন ব্রাহ্মণদের সংরক্ষণ। আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া 'উচ্চ জাত'-এর সংরক্ষণে আওয়াজ ওঠালেন বিচারপতি ভি চিতম্বরেশ।
গত ১৯ জুলাই কোচিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে তামিল ব্রাহ্মণ গ্লোবাল মিটিং। সেই মঞ্চে বিচারপতি বলেন, "পূর্ব জন্মের পুন্যের জন্য ব্রাহ্মণের দু'বার জন্ম হয়। তাই তাঁদের কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য থাকে। কর্ণাটকের শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রতি তাঁদের গভীর অনুরাগ, আমিষাশী খাদ্যাভ্যাস, উচ্চ চিন্তা, পরিচ্ছন্নতা তাঁদের উৎকৃষ্ট করে তোলে। তবে ব্রাহ্মণরা কখনও সাম্প্রদায়িক হয় না। তাঁরা মানুষকে ভালোবাসে, অহিংসায় বিশ্বাস করে। এরকম মানুষেরই যে কোনও বিষয়েরই শীর্ষে থাকা উচিত"।
কেরালা ব্রাহ্মণ সভার প্রধান অতিথি ছিলেন বিচারপতি চিতম্বরেশ।
আরও পড়ুন, ডাইনি সন্দেহে তিনজনকে পিটিয়ে খুন, ঝাড়খণ্ডে গ্রেফতার ৮
তিনি আরও বলেন, "ব্রাহ্মণ সভার সভাপতি যা বললেন, আমি তাঁর সঙ্গে সহমত পোষণ করি। যদিও সানবিধানিক পদে থাকার দরুন আমার কনু মন্তব্য করা উচিত নয়, তবু আমি আপনাদের নিজেদের সারথের কথা মনে করিয়ে দিতে চাই। আপনাদের কাছে এমন একটা মঞ্চ রয়েছে, যেখানে আপনারা আর্থিক অনগ্রসর শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ দাবি করতে পারেন। পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ রয়েছে। কিন্তু এক ব্রাহ্মণ রাঁধুনির সন্তান কিন্তু সংরক্ষণের আওতায় পড়ে না।
ব্রাহ্মণদের মধ্যে চিন্তা এবং ভাব বিনিময়ই গ্লোবাল মিটিং-এর মঞ্চের মূল উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। "ফেসবুকে তামিল ব্রাহ্মণদের জন্য অনেক গ্রুপ রয়েছে, সেখানে ঠাকুমাদের তৈরি রেসিপি ভাগ করে নেওয়া হয়। কিন্তু রেসিপি ভাগের মধ্যেই নিজেদের সীমিত রাখলে চলবে না। আমাদের স্বার্থ জড়িত এমন বিষয়গুলিতে আওয়াজ তুলতে হবে আমাদের"।
বিচারপতি চিতম্বরেশ ২০১১ সালে কেরালা হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন, ২০১২ সালের ডিসেম্বরে তিনি স্থায়ী বিচারপতি পদে উন্নীত হন।
Read the full story in English