/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/06/prashant-kishore.jpg)
এবার প্রশান্ত কিশোরের নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী।
'অগ্নিপথ' প্রকল্পের প্রতিবাদে বিহার জ্বলছে। আর, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিহারের দুই শাসক দল বিজেপি এবং সংযুক্ত জনতা দলের মধ্যে তীব্র চাপানউতোর। কেন্দ্রীয় সরকার 'অগ্নিপথ' প্রকল্পের ঘোষণা করেছে। দেশের সামরিক বাহিনীতে বিহার রেজিমেন্টের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বহু প্রাচীন এই রেজিমেন্ট।
স্বাধীনতার পর থেকে প্রতিবছর বিহারের অসংখ্য যুবক সেনাবাহিনীর নিয়োগ শিবিরে অংশ নিয়েছেন। আর, তার মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগও দিয়েছেন। গত দু'বছর ভারতীয় সেনায় নিয়োগ হয়নি। প্রার্থীরা তাই আশায় ছিলেন এবার শিকে ছিঁড়বে। কিন্তু, বদলে 'অগ্নিপথ' প্রকল্প ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যা আসলে চার বছরের চুক্তিতে সেনাবাহিনীতে নিয়োগের ব্যবস্থা।
স্বাভাবিক ভাবেই 'অগ্নিপথ' প্রকল্প নিয়ে ক্ষুব্ধ বিহারের যুবশ্রেণি। সেই ক্ষোভের আঁচ পড়েছে বিহারের পথে। রেললাইনে, রেলস্টেশনে হামলা চালাচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা। পাশাপাশি, পথে টায়ার পুড়িয়ে দিচ্ছেন, ভাঙচুর চালাচ্ছেন। বিহারে বনধও পর্যন্ত ডাকা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বেছে বেছে বিহার সরকারের বিজেপি মন্ত্রীদের ওপরও হামলা হচ্ছে।
এতে ক্ষুব্ধ বিহার বিজেপির নেতৃত্ব গোটা ঘটনায় উদাসীনতার অভিযোগ এনেছে শরিক শাসক দল জেডিইউয়ের বিরুদ্ধে। বিহারের বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জেডিইউয়ের নির্দেশেই হাত গুটিয়ে বসে আছে বিহার পুলিশ। তারা বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
আরও পড়ুন- ১৬ পেরোলেই মুসলিম মেয়েরা বিয়ে করতে পারবে, জানাল আদালত
পালটা মুখ খুলেছে জেডি (ইউ)। তারা জানিয়েছে, এই 'অগ্নিপথ' প্রকল্প কেন্দ্রের বিজেপি সরকার চালু করেছে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জানেন, কীভাবে প্রশাসন সামলাতে হয়। বিহারের বিজেপি নেতাদের থেকে তাঁকে শিক্ষা নিতে হবে না। এই বিক্ষোভ শুধু বিহারে হচ্ছে না। বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানার মতো রাজ্যগুলোতেও হচ্ছে।
'অগ্নিপথ' ইস্যুতে বিহারের দুই শাসক দলের এই চাপানউতোর দেখেই মুখ খুলেছেন ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোর।
#Agnipath पर आंदोलन होना चाहिए, हिंसा और तोड़फोड़ नहीं।
बिहार की जनता #JDU और #BJP के आपसी तनातनी का ख़ामियाज़ा भुगत रही है। बिहार जल रहा है और दोनों दल के नेता मामले को सुलझाने के बजाए एक दूसरे पर छींटाकशी और आरोप प्रत्यारोप में व्यस्थ हैं।— Prashant Kishor (@PrashantKishor) June 19, 2022
তিনি টুইট করেছেন, 'অগ্নিপথ ইস্যুতে আন্দোলন হওয়া উচিত। কিন্তু, ভাঙচুর হওয়া উচিত না। বিহারের জনগণ জেডি (ইউ) এবং বিজেপির অভ্যন্তরীণ গোলমালের শিকার হচ্ছে। বিহার জ্বলছে। আর, দুই দলের নেতারা পরিস্থিতি সামলানোর বদলে পরস্পরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি করছেন।'
Read full story in English
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
 Follow Us
 Follow Us